বাতাসে শ্বাস নেওয়ার সময় আমাদের দেহে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে যায়। প্রথমেই নাকের দুই ছিদ্রপথে আশপাশ থেকে ঢুকতে থাকে বাতাস। এরপর এই নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ বাতাস ট্রাকিয়া দিয়ে ফুসফুসে চলে যায়। ফুসফুসে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য বায়ুকুঠুরি। এই বিশেষ ধরনের বায়ুকুঠুরিকে বলা হয় অ্যালভিওলাই।
এখানে বাতাস থেকে অক্সিজেন ফুসফুসের ঝিল্লি হয়ে রক্তে প্রবেশ করে। এই রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেহে। আবার রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন কোষ থেকে দেহের বর্জ্য পদার্থ (যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড) ফুসফুসে আসে। এগুলোই আমরা প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ছেড়ে দিই। মোটামুটি সহজভাবে এই হচ্ছে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি।
প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্যই অক্সিজেন অপরিহার্য। পানিতে বাসকারী মাছেরও এ অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু তাদের ফুসফুসের গঠন মানুষ বা স্তন্যপায়ীদের চেয়ে ভিন্ন। এ কারণে তারা বাতাস থেকে অক্সিজেন নিতে পারে না। মাছের মুখে গিল নামে বিশেষ একধরনের শ্বাসযন্ত্র থাকে। এই শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে তারা পানি থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিতে পারে। আবার দেহ থেকে বর্জ্য গ্যাসও বের করে দিতে পারে।
কিন্তু মানুষ বা স্তন্যপায়ীদের দেহে এ ধরনের কোনো শ্বাসযন্ত্র নেই। সে কারণে পানি থেকে আমরা অক্সিজেন নিতে পারি না। আবার কিছু সামুদ্রিক প্রাণী (যেমন তিমি বা ডলফিন) পানিতে বাস করলেও তারা পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। তবে তারা পানির নিচে অনেকক্ষণ শ্বাস না নিয়েও বেঁচে থাকার ক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু তাদেরকে শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য কিছুক্ষণ পরপর পানির ওপর উঠে আসতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।