জুমবাংলা ডেস্ক : পানির নিচে ১৩ ঘণ্টাই জ্ঞান ছিল বলে জানিয়েছেন সদরঘাটের শ্যামবাজারে লঞ্চডুবি থেকে অলৌকিকভাবে উদ্ধার হওয়া যুবক সুমন ব্যাপারী। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে মিটফোর্ড হাসপাতালের করিডরে গণমাধ্যমের কাছে বেঁচে ফেরার ঘটনা তুলে ধরেন তিনি।
উদ্ধার হওয়ার পর থেকে সুমন ব্যাপারী সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো। ১৩ ঘণ্টা পুরো সময়টাতেই প্রার্থনা করে কাটিয়েছেন বলে জানান তিনি।
সুমন ব্যপারী গণমাধ্যমকে জানান, প্রথমে দিকে পেটে একটু পানি প্রবেশ করলেও বাকি পুরো সময়টা নিরাপদে ছিলেন। এসময় লঞ্চডুবির পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, আমি তো মনে করেছি ১০ মিনিটি হয় আটকে আছি! পানির উপর উঠে এসে শুনি ১৩ ঘণ্টা হয়েছে। আল্লাহপাক যা চায় তাই হয়। কারণ আমি তো ওইখানে মৃত্যুবরণ করতে পারতাম। পানির নিচে থাকা অবস্থায় পানি খেয়েছিলাম। কিন্তু প্রস্রাব করার পর পেট ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এরপর উপরে উঠে আসি!
সুমন ব্যাপারীর ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন মুন্সিগঞ্জের কাটপট্টি লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চে উঠিছিলেন তিনি। নিজেকে একজন ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন তিনি। তাকে কখন হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি হাসপাতালের পরিচালক।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। এঘটনায় ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই মুন্সীগঞ্জের। এছাড়া লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টার সোমবার রাত ১১টার দিকে সুমন ব্যাপারী উদ্ধার হন।
এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এছাড়া, মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা ও তাৎক্ষণিক ভাবে দাফন করা জন্য ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।