জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় শাশুড়ি ও ননদকে হত্যার উদ্যেশে পান ও জর্দার সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর একদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ননদ। প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রাণে বেঁচে গেছেন শাশুড়ি।
এ ঘটনায় পপি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে গাবতলী থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেলে গাবতলী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার ধোড়া মধ্যপাড়ার মোজাম্মেল মন্ডলের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে বগুড়া সদরের বুজরুকবাড়িয়া কাজীপাড়ার জহুরুল ইসলামের মেয়ে পপি আকতারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের আতিকা নামে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বউ ও শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পপি বেগম তার শাশুড়ি রাশেদা বেগমকে (৫০) হত্যার উদ্যেশ্যে পান ও জর্দার মধ্যে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে দেন। পান খাওয়ার পর শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে মেয়ে (ননদ) সখি বেগম (২৭) পরদিন বুধবার সকালে মাকে দেখতে আসেন। মাকে দেখতে আসলে তাকেও গালিগালাজ করে পপি বেগম।
একপর্যায়ে ননদ সখি বেগমকেও পান ও জর্দার সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পান খাওয়ার পর সখি বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ননদ সখি বেগম মারা যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী আল আমিন বাদি হয়ে শুক্রবার গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার আসামি পপি বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।