শাহীন রহমান, পাবনা: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ফেরদৌস আলম ফিরোজ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ সময় স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগিরা। পরে পুলিশ গিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে চরতারাপুরের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নেতা ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর গ্রামের বকুল খানের ছেলে। তিনি পার্শ্ববর্তী সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, বাড়ি সদর উপজেলায় হলেও ফিরোজ সুজানগরের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন তিনি। এছাড়া চরতারাপুরের বালিয়াডাঙ্গী ও দিঘী গোহাইলবাড়িসহ কয়েকটি বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এতে বাধা দিলে মাঝেমধ্যে এলাকাবাসীদের বাড়িঘরে হামলা এবং নানা হুমকি-ধামকি দেন।
এসব বিরোধ এবং সর্বশেষ তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রায় অর্ধশত সহযোগি নিয়ে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলযোগে শুকচর গ্রামের শামসুল প্রামানিকের বাড়িতে হামলা করেন আ’লীগ নেতা ফেরদৌস আলম ফিরোজ।
ভুক্তভোগী শামসুল প্রামানিক জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর শুরু করেন। ঘরের ভেতর ঢুকে ঘুমন্ত কয়েকজনকে টেনে হিচড়ে বের করে মারধর করেন। এসময় বাড়ির নারী সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে ৭টি মোটসাইকেল ফেলে রেখেই পালিয়ে যান ফেরদৌস আলম ফিরোজ ও তার সহযোগিরা। স্থানীয়রা আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ মোটসাইকেলগুলো জব্দ করেন।
তবে ঘটনা স্বীকার করলেও নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত নেতা ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান। তিনি বলেন, ‘তারাবির নামাজে ছেলেপেলেদের সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পরে এটা নিয়ে তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। আমি সেই ঘটনা শুনে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে বালুমহাল নিয়ে কোনও ঘটনা ঘটেনি।’
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, ‘তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দুই পক্ষের ঝামেলা হয়েছিল। একপক্ষ মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করেছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।