জুমবাংলা ডেস্ক: পাবনার মেধাবী শিক্ষার্থী মোছা. জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম।
‘মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত মুন্নীর’ এই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তা নজরে আসে হুইপ ইকবালুর রহিমের। এরপর মুন্নীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে মুন্নী এবং তার পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন হুইপ ইকবালুর রহিম। দীর্ঘ আলাপের পরে মুন্নীর মেডিকেল কলেজে ভর্তিসহ সমস্ত খরচ বহন করার বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
মুন্নীর বাবা বাকী বিল্লার বলেন, ‘এখন আমি চিন্তামুক্ত। হুইপ মহোদয় মেয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন।’
হুইপ ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত সংসদ সদস্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ আমার প্রয়াত বাবার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামকরণ করেছেন। আমি সংসদের যে ভাতা পাই সেই অর্থ দিয়ে প্রতি বছরই মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে ব্যয় করে থাকি। বর্তমানে আমাদের এই মেডিক্যাল কলেজে ৫ জন শিক্ষার্থী বিনাখরচে পড়াশোনা করছেন। ইতোমধ্যে ১৪ জন এমবিএস পাস করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদটি দেখার পরে আমি ওই অদম্য শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চিন্তামুক্ত করেছি। তার মেডিকেল কলেজের শিক্ষা গ্রহণের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে সেটা আমি বহন করবো।’
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৩১১০তম হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ভর্তির সুযোগ পেয়েছে মুন্নী।
মুন্নী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের বাকীবিল্লাহ ও মোছা. রওশন আরা খাতুনের মেয়ে। ৪ সন্তানের মধ্যে মুন্নী বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মুন্নীর পিতা একজন দরিদ্র ভ্যানচালক। মুন্নীর পিতার নিজ বাড়ির ২ কাঠা জায়গা ছাড়া তেমন কিছুই নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।