জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজের ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনায় আবার দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) পাইকার বাজার ও খুচরা বাজারে মণপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে তিন হাজার টাকায়। যা গত দুই-তিনদিন আগে ছিল ২৫শ’ থেকে ২৬শ’ টাকা।
প্রতিকেজি পেঁয়াজের বর্তমান পাইকার দাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আর বাছনাই নষ্ট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। গেল দুইদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে পেঁয়াজের বাজার একটু নিম্নমুখি হয়েছিল। কেজিতে দাম কমেছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবে খুচরা আর পাইকার বাজারে পেঁয়াজের ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বড় পাবনা বড় বাজারের পাইকার পেঁয়াজ বিক্রেতা আতাহার আলী বলেন, পেঁয়াজের দাম হাটে অনেক চড়া। আমরা যারা স্থানীয় বাজারগুলোতে পাইকার পেঁয়াজ এনে বিক্রি করি, তারা বর্তমানে পেঁয়াজ কিনছি না। কারণ বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে এসে কম দাম বিক্রি করতে হয়। অনেক টাকা লস হয়ে গেছে। বর্তমানে হাটে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধার এলাকার পেঁয়াজের পাইকারা বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের অভিমত, কৃষক পর্যায়ে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করার খবরে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে তোলেন। আমাদের পাবনা অঞ্চলসহ বড় বাজারগুলোতে ভারতের পেঁয়াজের ব্যবসায়ী নেই। এখানে ভারতের পেঁয়াজ খুব কম চলে। দেশি পেঁয়াজ সবাই চান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে এখনো দুই মাসের পেঁয়াজ মজুদ আছে পাবনায়। ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার সুযোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের পেঁয়াজ বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে সব মিলিয়ে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজ বিক্রি কমে গেছে। সাধারণ ক্রেতারা খুব প্রয়োজন না হলে পেঁয়াজ কিনছেন না। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসছে। শিগগিরই পেঁয়াজের বাজার ক্রেতাদের নাগালে চলে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।