জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ উদ্দিন প্রধানের পক্ষে নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ করায় দলের ১৮ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নোটিশ প্রাপ্তদের আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়েছে, নোটিশপ্রাপ্তরা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনির বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধানের পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করছেন। যা দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ( ঠ) ধারার পরিপন্থী। এমতাবস্থায় নোটিশপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে তার যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবু, আব্দুল হামিদ মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক আবু ইসাহাক শামীম, অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী বাকী, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, ধর্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, শ্রম সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, কার্যকরী সদস্য ইমদাদ আলী বিশ্বাস, উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, লিয়াকত আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি তসলিম হাসান সুমন ও সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মামুন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির নির্দেশে তাদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, আমরা নৌকা প্রতীকের বিরোধী নই। ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে বিশেষ মহলের তদবিরে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবার থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় আমরা নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছি। দলের তৃণমূল রক্ষার তাগিদেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। নোটিশের জবাবে আমরা দলের হাইকমান্ডকে প্রমাণসহ এসব বিষয় জানাবো।
এদিকে, একই কারণে পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেনকে বহিষ্কার ও কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।