জুমবাংলা ডেস্ক: বিশ শতকের সর্বাধিক পঠিত কবি চিলির পাবলো নেরুদা (জন্ম ১২ জুলাই ১৯০৪, মৃত্যু ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩)। মাতিলদে উরুটিয়া পাবলো নেরুদার তৃতীয় স্ত্রী, দাপ্তরিকভাবে তাদের দাম্পত্যকাল ১৯৬৬ থেকে নেরুদার মৃত্যু পর্যন্ত। ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ জেনারেল অগাস্তো পিনোশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সালভাদর আয়েন্দের সরকারকে উৎখাত করলেন। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে আগুন জ্বলল, চলল অবিরাম গুলিবর্ষণ। নেরুদার প্রিয় বন্ধু প্রিয় প্রেসিডেন্ট আয়েন্দে নিহত হলেন। তাঁকে নিয়ে মাতিলদে উরুটিয়ার স্মৃতিগ্রন্থ মাই লাইফ উইথ পাবলো নেরুদা। দু’জনের জেনেভায় নির্বাসিত জীবন কাহিনী অনূদিত হলো।
শেষ পর্যন্ত আমি সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলাম, বহুল প্রত্যাশিত সে দিনটি এলো আমার জেনেভা ট্রিপ। পাবলো আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আবার আমরা একত্রিত হতে যাচ্ছি। আমাদের এই বিচ্ছেদ কত দীর্ঘই না ছিল। তাকে ছাড়া দিনগুলো শূন্য মনে হয়েছে। রোমে আমার বন্ধুদের ডাকলাম, তাদের বলব বিদায়।
আমি তাদের বলেছি- কোনো দিন আমাদের মেক্সিকোতে দেখা হবে আর তখন আমরা এ রকম অসম্ভব পরিস্থিতি নিয়ে হাসাহাসি করব। তারা আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন, যদিও আমি জানি সে রকম ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে না। আমি অস্বস্তিও বোধ করছিলাম। যদিও ইতালি দেশটার অন্তরঙ্গ স্মৃতি সবসময় মনে করব তবু ইতালি ছেড়ে যেতে পেরে আমি খুশিই হয়েছি। আমি আমার ডায়েরিতে লিখেছি : ছদ্মবেশী পুলিশের কাছে পৃথিবীটা কত কুৎসিত। তারা সবসময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, যেন অতিকায় কোনো থাবা তাদের দিকে ধেয়ে আসছে। কী নোংরা সেই জীবন।
অসংখ্য স্যুটকেসসহ স্টেশনের পথে টেলিগ্রাফ অফিসে আমার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে নামি। সে রাতে তাকে পেয়ে যাওয়াটা অলৌকিক ব্যাপার তার সেই ভবঘুরে এখন সুখী বন্ধুটির সঙ্গে যাকে সে ঠান্ডা নৈঃসঙ্গতায় মরণাপন্ন অবস্থায় পেয়েছিল। আমরা পরস্পরকে আবেগময় বিদায় জানালাম, এ এক স্মরণীয় বিচ্ছেদ।
কালই যে পাবলোর সঙ্গে আমার দেখা হচ্ছে এই চিন্তা পায়ের ওপর আমার দেহটিকে একেবারে নির্ভার করে তুলল। স্যুটকেস নিয়ে আমার সমস্যার একটা সমাধানও পেয়ে গেলাম। বললাম, আমি থিয়েটার কোম্পানির প্রতিনিধি। আর যে নিয়ন ট্রেনকে খুব অপছন্দ করে এক পশুর ডাক্তারের কাছ থেকে তার জন্য ঘুমের ওষুধ নিয়ে এসেছিলাম। এখন আমার পাশে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
যে বিশেষ ট্রেন ধরার জন্য পাবলো খুব চাপাচাপি করছিল সেই ট্রেনে ওঠার পর সবকিছু নিয়েই আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। ফোনে পাবলো আমাকে যে হোটেলের ঠিকানা দিয়েছে, আমি তা সঠিকভাবে লিখেছি তো? সময় থমকে আছে কেন? পুরো সফরে আমি আমার সিট ছেড়ে একবারও উঠিনি। নিয়ন ঘুমোচ্ছে। আমি পড়তে চেষ্টা করছি, পারছি না। আমার ভাবনা বার বার পাবলোর কাছে ফিরে ফিরে যাচ্ছে যেন আমি তার সঙ্গেই আছি। কি উদ্বেগ! ডায়েরিতে লিখলাম, ‘প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করাটা তিক্ত-মিষ্ট ওষুধের সিরাপের মতো, আনন্দ ও যাতনার মিশ্রণ। এটা আমার ভালো লাগে না।’
ট্রেন যখন স্টেশনে ঢুকল আমি পাবলোর বাজানো শিসের শব্দ শুনলাম। চিলির সুদূর দক্ষিণের একটি পাখির ডাকের মতো এ শিসটি পাঁচটি সুরের, হালকা থেকে আরও নিচু এই সুর আমরা অনুকরণ করছি। জনতার ভিড়ের মধ্যে যখন আমাদের পরস্পরকে খুঁজে বের করা দরকার আমরা বহুবার এই শিসের চর্চা করেছি। স্টেশনেও তাই করলাম। তার শিসের শব্দ শুনে আমিও শিস বাজালাম, তখনই তার প্রত্যুত্তরও শুনলাম। কিন্তু তখনো তার দেখা পাইনি। অন্তত একটা ভালো দিক হচ্ছে আমরা দুজনেই জানি যে আমরা স্টেশনেই আছি। দূর থেকে আমি মাথার ওপরে তোলা পাবলোর হাত দেখতে পেলাম। সে হাতে ধরে আছে ফুলের একটি গুচ্ছ। ট্রেন থেকে নেমে তার আলিঙ্গনে বাঁধা পড়তে আমার অনেকক্ষণ লেগে গেল।
নিয়ন আমাদের চারপাশ ঘুরে লাফাতে লাফাতে ঘেউ ঘেউ করে চলল। সেও চাচ্ছিল পাবলো তাকে আলিঙ্গন করুক। কিন্তু তাকে যে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কারণ আলিঙ্গনের বাঁধনে আমরা যে নিজেদের বিশ্বে ডুবে আছি, পৃথিবীতে নেমে আসতে আমাদের আরও সময় লাগবে। জাদুবলে আমার ভ্রমণের ক্লান্তি বিলীন হয়ে গেছে, আমি আরও একবার নিরাপত্তায় অবগাহন করছি।
আমাদের দুজনের পছন্দের দেশ সুইজারল্যান্ডে আবার ফিরে আসি। আগে পাবলোর চেনাজানা একটি হোটেলে উঠলাম, খাবার খেতে গেলাম ছোট একটি রেস্তোরাঁয়। আমার ভ্রমণে কতটা ঝক্কি-ঝামেলা ছিল জানার জন্য পাবলো উদ্গ্রীব হয়ে আছে। আমি বলে যাচ্ছি ক্যাপ্রিতে ঘটনাবহুল সফরের কথা, সমুদ্রঝড়ের কথা, তারপর যখন সেইন্ট অ্যাঞ্জেলোর হোটেলে ফিরে আসি পরীক্ষার মোকাবিলা করতে হয়, আমার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় যেন আমি অপরাধী সে কথা পাবলোকে বলেছি। অকারণে ইতালির পুলিশ শহর থেকে শহরে আমার পিছু নিয়েছে। আমার এই অপদস্থকর পরিস্থিতির কথায় পাবলো খেপে ওঠে কারণ তাকে তো বহুবার এ রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, আমার বেলায় এটাই প্রথম।
পাবলো স্মরণ করল : ‘যুদ্ধের আগে আমি যখন স্পেনে গেলাম, তারা আমাকে কমিউনিস্ট চিহ্নিত করল। কারণ আমার যারা বন্ধু তারা কমিউনিস্ট, আমি তাদের পাশে লড়াইয়ে নেমেছি, অবিচার ও নির্মমতার বিরুদ্ধে লিখেছি এবং প্রতিবাদ করেছি। পরে যুদ্ধ শুরু হলো, আমি দেখলাম অরাজক পরিস্থিতি থেকে শৃঙ্খলা কমিউনিস্টরাই ফিরিয়ে আনল। তখন গৃহযুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের অমানবিকৃত পরিস্থিতিতে কেবল তারাই কিছু মানবিক কাজ করে যাচ্ছে।’
স্পেনের গণযুদ্ধের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে যখন চিলিতে ফিরে এলো, যা সে দেখে এসেছে কেমন করে তা লিখতে শুরু করল এবং কেন লড়াই চালিয়ে গেল তার ব্যাখ্যা দিল। এর মধ্যে পাবলো সবচেয়ে বড় কমিউনিস্ট হিসেবে স্বীকৃত; পাবলো ব্যাখ্যা দিল : ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ও নিন্দাজ্ঞাপন করার মানে যদি কমিউনিস্ট হওয়া হয়, বেশ তো আমি তাই।’ তারপর পাবলো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিল। সে তো বরাবরই কমিউনিস্ট, আমার ধারণা ভালো কমিউনিস্ট। অন্য মানুষের ভোগান্তি তাকে যেমন ব্যথিত করে তাতে তার কমিউনিস্ট হওয়া থামানোর কোনো উপায় নেই। যতদিন বেঁচেছিল তার কলম আর জীবন দুই-ই মানুষের জন্য নিবেদিত ছিল।
এতসব স্মৃতি আমাদের ডিনারের বারোটা বাজিয়েছে মনে করার কোনো কারণ নেই, বরং সবকিছুর মধ্যেই একটা মজাদার দিক আমরা খুঁজে পেয়েছি। হাসতে হাসতে কান্না না আসা পর্যন্ত তার নিস্তার নেই, বিশেষ করে আমি যখন ইতালির পুলিশের কথা বলি কারণ তখন আমিই তার জানা রাজনৈতিকভাবে অজ্ঞ নারীদের শীর্ষস্থানে। কিন্তু আমি তো তার ভালোবাসা আর সেই মুহূর্ত থেকেই সে যা কিছু করেছে জীবনে যত সমস্যার মোকাবিলা করেছে তার তো ভার আমাকেই নিতে হবে।
‘দ্য ক্যাপ্টেইনস ভার্সেস’-এ সৈনিকের ভালোবাসা কবিতায় পাবলো লিখেছে-
এখন আমার পাশে হেঁটে
তুমি দেখছ জীবন চলছে আমার সাথে
আর মৃত্যু আমাদের পেছনে
এখন তুমি আর সিল্ক পোশাকে বলরুমে
নাচতে যেতে পার না
তোমার জুতো ক্ষয়ে যাবে
মার্চ করতে করতে তুমি বেড়ে উঠবে
তোমাকে কাঁটার ওপর দিয়ে হাঁটতে হবে
ঝরে পড়বে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত
প্রিয় আমাকে আবার চুমো খাও
কমরেড ওই বন্দুকটা পরিষ্কার কর।
সন্ধ্যার বাকি সময়টা আমরা জেনেভার চারপাশে ঘুরে বেড়ালাম, জেনেভায় দোকানপাট সব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের ভালোবাসা অনুভূতি বিশাল, অনেক বিশাল। যারা আমাদের দিকে তাকিয়েছে তাদের এটা জানানো দরকার আমরা এমনই ভালোবাসার সম্পদ আমাদের সঙ্গে বহন করে চলেছি।
পরদিন সকালের দিকে আমরা ট্রাভেল এজেন্সিতে গেলাম। আমরা জাহাজে চিলি যেতে চাই এমন একটা ভ্রমণের স্বপ্ন আমাদের অনেক দিনের। টিকিটের দাম অনেক বেশি। এবার আমাদের ট্যাকের হিসাব নেওয়ার পালা। দেখা গেল যা আছে গিয়োলো সিজার জাহাজে দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট কেনার জন্য পর্যাপ্ত, জাহাজ দুই সপ্তাহের মধ্যে কান বন্দর ছেড়ে যাচ্ছে।
আমরা জেনেভার বাইরে কোথাও থাকার সিদ্ধান্ত নিই। আমি নিয়নের কথা বলি। পাবলো কয়েক মুহূর্ত ভেবে বলল, ‘সেসব স্মৃতি আমাদের স্পর্শ করার দরকার নেই, সেটা ছিল আমাদের চমৎকার সময়।’
পাবলো সঠিকই বলেছে, অত্যন্ত সঠিক। সেই অবস্থান আমাদের কল্পনা ছাড়িয়ে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছিল, এই স্মৃতি থেকে অব্যাহতি নিই।
পরদিন আমরা কজন বন্ধুর সঙ্গে মিলিত হই। তাদের মধ্যে পাবলোর কবিতার গুণমুগ্ধ একজন তরুণ কবিও ছিলেন। আমরা তাকে আমাদের সমস্যার কথা বললাম। খরচ কম, দেখতে সুন্দর ও নির্জন এবং জেনেভার কাছাকাছি একটি থাকার জায়গা আমাদের দরকার।
সঙ্গে সঙ্গেই কবি চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘তাহলে ভেসেনাজ, চলুন, জায়গাটা আপনাদের খুব পছন্দ হবে।’ (সুন্দর জায়গা খুঁজে পেতে হলে কোনো কবিকে বলুন।)
ট্রামে চড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা গন্তব্যে পৌঁছে যাই। অবিশ্বাস্য সুন্দর একটি জায়গা। জেনেভার এত কাছে এমন একটি গ্রামীণ শহর পাওয়াটা আমাদের কাছে অসম্ভব ব্যাপার মনে হয়েছে।
সৌভাগ্যবশত আমাদের বন্ধুটির চেনাজানা একটি বোর্ডিং হাউসের তিন তলায় বাগানমুখী একটি বড় ঘর পাওয়া গেল। ফুল এবং পাতা ও ডালে ঘরটি আগে থেকেই সাজানো। এর গ্রামীণতা, বোর্ডিং হাউস কর্মীর মনোযোগ এবং একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা আমাদের মুগ্ধ করল। আমাদের অবস্থানের দ্বিতীয় দিন তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসলেন এবং তৃতীয় দিন আমাদের সঙ্গে খানিকক্ষণ কথা বললেন, যেন শেষ পর্যন্ত তিনি তার মূল্যবান সময়ের কয়েকটি মিনিট বন্ধুপ্রতিম দক্ষিণ আমেরিকার একটি দম্পতির সঙ্গে ব্যয় করতে সম্মত হয়েছেন।
বিকালে বাগানে আমাদের কুকুরের ঘেউ ঘেউ শুনে কী হয়েছে দেখার জন্য নেমে এলাম। ঠিক আমাদের চোখের সামনে এক সারি ছোট্ট প্রাণী মার্চ করে যাচ্ছে। দেখতে ছোট থাবার লম্বাটে শজারুর মতো। যখন বাগানটি অতিক্রম করছে তখন যে সুচারু পদক্ষেপে লাইন ধরে এগিয়েছে এটা বিস্ময়কর। এই ছোট্ট প্রাণীর মার্চ দেখা গতানুগতিকতার বাইরে আমাদের একটি প্রিয় কাজ হয়ে উঠেছে।
কোনো কোনো দিন আমরা জেনেভা গিয়েছি রাস্তায় বাসে, ভাড়া গাড়িতে, নিয়নও আমাদের সঙ্গে এসেছে। নিয়নকে সঙ্গে নিতে ভালো লেগেছে, তার জন্য যখন অর্ধেক ভাড়া গুনতে হয়েছে, আমরা এ নিয়ে হাসাহাসি করেছি। কিন্তু যখন সিনেমায় গিয়েছি, টিকিটের দাম একেবারে আমাদেরটার সমান সমান। রেস্তোরাঁয় খদ্দেরের কুকুরের জন্য তাদের স্পেশাল প্লেটের ব্যবস্থা আছে। এ রকম সুসভ্য একটি দেশে বসবাসের স্মৃতি কখনো আমাদের ভোলার নয়। কদিন পর আমাদের জেনেভায় যাওয়ার প্রবণতা কমে আসে, তার বদলে আমরা ভেসনাজের ছোট ও মজার মজার রাস্তা ধরে হেঁটে বেড়াই।
শিগগির আমাদের কান শহরে যেতে হয়। স্টিমারে আমাদের আসন্ন চিলি সফরের বিষয়টি আমাকে আনন্দিত করলেও আমাকে এটা স্বীকার করতে হবে সেখানে গিয়ে আমার কেমন লাগবে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। কিংবা সেখানে আমার সুখের ওপর চিলি কেমন প্রভাব ফেলবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না। চিলিতে কী ঘটবে এসব বরং চিন্তা না করাই ভালো। আমরা ছোট্ট গ্রামটিকে বিদায় জানিয়ে বোর্ডিং হাউসে ফিরে আসি। সেই অপরাহ্ণে কাপড় ধুই, ইস্ত্রি করি। দিনটি উষ্ণ। পাবলো পাশে বসে লিখছে। আমি যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছি। বরাবরের মতো আমাদের ছোট্ট পরিবারের ওয়েটার হয়ে পাবলো যা কিছু পেয়েছে সব মিলিয়ে মিশিয়ে আমার জন্য সতেজকারক একটি ড্রিংক বানিয়ে নিয়ে আসে। আমাদের ককটেল উপভোগ করতে আমরা একসঙ্গে বসি। আমাকে দেওয়ার মতো কিছু একটা পাবলোর হাতে, এটাই হচ্ছে তার এ ক্লক ইন দ্য নাইট কবিতা।
[এখানেই শেষ নয়। এখানে প্রকাশিত হল নিবন্ধের ৩ খণ্ডের ১ম অংশ। ২য় ও পরবর্তী অংশ শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।]
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।