লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডাল তো আপনারা সবাই বাসায় রান্না করেন। অনেকে আবার প্রতিদিনও বাসায় ডাল রান্না করে থাকেন। অনেকের ডাল রান্না খুবই ভালো হয়। আবার দেখা যায়, অনেকের ডাল রান্না খেতে ভালো হয় না এবং রান্না করে রেখে দিলে ডাল ভালো থাকে না। ন’ষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ফ্রিজে রাখলেও ডালের টেস্ট ঠিক থাকে না। তাই আজকে আপনাদের বলব। পারফেক্ট ডাল রান্নার কৌশল। উপকরণ: -ডাল -রসুন -পেয়াজ -মরিচ -হলুদ -লবন
প্রণালী: আপনি ডাল রান্না করার আধা ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রাখবেন। এতে ডাল ফুলে যাবে, ভালোভাবে সিদ্ধ হবে এবং খেতেও ভালো লাগবে। এবার আপনি একটি পাতিলে পানি বসিয়ে দিবেন। আপনার ডাল যতটুকু তার ৪–৫ আঙ্গুল পানি দিতে হবে। আপনি যদি ডালে ৩ ভাগ পরিমান পানি দেন, তবে ২ ভাগ পানি রাখবেন আর এক ভাগ পানি শুকিয়ে ফেলবেন। এবার আপনি পাতিলে ডাল দিয়ে দিবেন। এ ডালটা আপনি আর নাড়া দিবেন না, লবনও দিবেন না। ব্লক না উঠা পর্যন্ত ঢেকে রাখবেন। আপনার ডাল যদি ভালো মানের হয় তবে ৪০ মিনিটের মধ্যে গলে যাবে।আপনার ডালে যখন ব্লক আসবে তখন চুলার আচঁটা একে বারে কমিয়ে দিতে হবে, যাতে ডাল উপচে না পড়ে।
আপনি ডাল ঢেকে রাখবেন, এতে ডাল সিদ্ধ হবে কিন্তু পানি শুকাবে না। অনেকে প্রথমে ডাল জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করে নেয়। তার পরবর্তিতে আবার ডালে গরম পানি ঢেলে দিয়ে আবার রান্না করে। এতে ডালের টেস্ট কমে যায়। খেতেও ভালো লাগে না। ডালে কিন্তু আলাদা কোন পানি দেওয়া যাবে না। এবার আপনি একটি রসুন কেটে দিয়ে দিবেন। সঙ্গে একটা পেঁয়াজও কেটে দিবেন। এটা আবার সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢেকে অপেক্ষা করেবেন। চুলার আচঁ কিন্তু কমই থাকবে, যাতে ডাল না পড়ে যায়। পেঁয়াজ ও রসুন সিদ্ধ হলে অল্প পরিমান হলুদ দিবেন , নাইলে দে’খতে ভালো লাগবে না। তারপর একটু নেড়ে স্বাদ মত লবন দিয়ে দিবেন। লবন দেওয়ার পরে আপনি ডাল ঘুড়নি দিয়ে ঘুড়বেন। এতে ডাল ঘন হয়ে যাবে।
অনেকে বেশি ডাল রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেয়। পরে ২–৩ দিন গরম করে ওই একই ডাল খায়। এতে ডালের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়, খেতে ভালো লাগে না। তাই আপনি বাগাড় দেওয়ার আগে যে ডাল লাগবে না, তা উঠিয়ে রাখবেন। অনেকের বাসায় ২ জন ডাল খায় আবার ২ জন খায় না। ২ জনের জন্য প্রতিদিন ডাল রান্না করা কষ্টকর। তাই আপনি এ ভাবে করতে পারেন। উঠিয়ে রাখা ডাল আপনি ঠান্ড করে বক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিবেন। পরদিন আবার ওই ডাল রান্না করে খেতে পারবেন। ফ্রিজে রাখা ডাল বের করে ব্লক উঠিয়ে বাগাড় দিয়ে রান্না করে নিবেন।
বাগাড় দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকে অন্য চুলায় পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ তেলে ভেজে কড়াই থেকেই ডালের মধ্যে দিয়ে দেয়। এতে ডালের পারফেক্ট স্বাদ নষ্ট হয়। আজকে যে ভাবে বলব, সে ভাবে বাগাড় দিলে ডালের স্বাদ অনেক বেড়ে যাবে। ডাল বাগাড় দেয়ার জন্য আপনি আলাদা একটি কড়াই রাখবেন। কড়াইটি পরিষ্কার রাখতে হবে। আপনি প্রথমে কড়াই তে তেল দিয়ে, পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে দিবেন। আপনি ইচ্ছা করলে শুকনো মরিচ দিয়ে দিতে পারেন। অনেকে জিরাও দেয়।
আপনার যদি জিরার ফ্লেভার ভালো লাগে তবে জিরাও দিতে পারেন। আপনি চড়া জ্বালে বাগাড় দিবেন। পেঁয়াজ ও রসুন ব্রাউন কালার করে ভেজে নিবেন। বেশি পুড়ে ফেলবেন না তবে ডালের উপর ভেসে থাকলে ভালো দেখাবে না। এবার আপনি অন্য চুলা থেকে ডালের পাতিল নিয়ে বাগাড়ের মধ্যে ঢেলে দিবেন। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা দিয়ে দিবেন। এরপর প্রয়োজন মত ধনে পাতা দিয়ে দিবেন। বাগাড়ের পর ডাল বেশি সময় চুলায় রাখবেন না।এতে ফ্লেভার নষ্ট হয়ে যাবে। এ ভাবে আপনি খুব সহজে পারফেক্ট ডাল রান্না করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।