আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বড় ধরনের পারমাণবিক হামলা পরিচালনার সক্ষমতা যাচাই করতে একটি মহড়া সম্পন্ন করার দাবি করেছে রাশিয়া। বুধবার রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, এই সামরিক মহড়ায় শত্রুর পারমাণবিক হামলার পাল্টা পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মহড়ার কথা তুলে ধরছেন।
এমন সময় এই মহড়া আয়োজন করা হলো যখন পারমাণবিক ওয়ারহেডের পরীক্ষা বন্ধের একটি বৈশ্বিক চুক্তি থেকে রাশিয়া নিজেকে প্রত্যাহার করার উদ্যোগ নিয়েছে।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত পারমাণবিক হামলার ক্ষেত্রে প্রস্তুতির মহড়া আয়োজন করে। সাধারণত মস্কো এমন মহড়া অক্টোবর মাসের শেষের দিকে আয়োজন করে আসছে।
পুতিনকে শোইগু বলেছেন, এই বছরের মহড়ায় শত্রুর পারমাণবিক হামলার জবাবে কৌশলগত আক্রমণ বাহিনী দ্বারা একটি বড় পারমাণবিক হামলা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহড়ায় ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পরীক্ষাক্ষেত্র থেকে একটি ইয়ার্স আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ব্যারেন্টস সাগরের একটি পারমাণবিক-চালিত সাবমেরিন থেকে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই পরীক্ষার ফুটেজ প্রকাশ করেছে।
অক্টোবর মাসের শুরুতে পুতিন দাবি করেছিলেন, রাশিয়া একটি পারমাণবিক-চালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
১৯৯৬ সালে কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি (সিটিবিটি) চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিশ্বের যে কোনও স্থানে যে কোনও ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিস্ফোরণ বা অন্যান্য পারমাণবিক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর থেকে পারমাণবিক যুদ্ধ নিয়ে আশঙ্কা বিরাজ করছে। জুন মাসে রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে। পুতিন দাবি করেছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড বা রাষ্ট্র হুমকিতে পড়লেই কেবল এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, ইউক্রেনে আক্রমণে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে বলে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।