জুমবাংলা ডেস্ক : লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামের চতুর্থ দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে চতুর্থ দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
চতুর্থ দফা গ্রামের বাড়ির জানাজা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এ সময় দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষকে আইনজীবী আলিফের জানাজায় শরিক হতে আসেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আদালত ভবন চত্বরে। সাড়ে ১১টার দিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়েরে মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ জানাজার আগে পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আলিফের পিতা জামাল উদ্দিন। এসময় সন্তান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার দাবি করেন তিনি।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন প্রমুখ।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় চিন্ময়ের অনুসারীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ছাত্রজীবনে মেধাবী সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়ার আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে দাখিল পাস করেছিলেন। পরে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) থেকে এলএলবি পাস করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।