আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট স্থগিতের বিষয়ে রানিকে মিথ্যা বলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর : বিবিসি বাংলার।
তার বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ সম্পর্কে গতকাল তিনি সরাসরি বলেছেন, রানিকে বিভ্রান্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি যা করেছেন বা বলেছেন তা আইনের মধ্যে থেকেই হয়েছে। স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ দেওয়ানী আদালত জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এক টিভি সাংবাদিকের কাছে একথা বলেন।
আদালতের রায়ের পর জনসন রানির কাছে মিথ্যা বলে পার্লামেন্ট স্থগিত করিয়েছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধিরা। এ নিয়েই ব্রিটেনের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। যুক্তরাজ্যে রানি পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করার ক্ষমতা রাখেন।
তবে প্রথাগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে সে ব্যাপারে যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করে পার্লামেন্ট স্থগিতের অনুরোধ করতে হয়। বরিস যে কারণ দেখিয়ে রানিকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলেন তা ‘মিথ্যা’ নাকি সত্য ছিল সেই বিতর্ক এখন তুঙ্গে।
গত মঙ্গলবার এমপি’দের অভিনব প্রতিবাদে নজিরবিহীন নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর নতুন অধিবেশন শুরু হবে। নতুন অধিবেশন শুরুর পর এমপি’রা আবারো ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার অনেক সময় পাবেন।
ব্রেক্সট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন।
নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। গত সপ্তাহে জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন। এই প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।