বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তিনির্ভর জীবনযাত্রায় গোপনীয়তা রক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হল পাসওয়ার্ড। এই পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত না থাকলে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের অস্তিত্বও ঝুঁকিপূর্ণ।
চুরি যাওয়া পাসওয়ার্ডে হাতিয়ে নেওয়া যায় ব্যাংকের মজুত। নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট। একজন ব্যক্তির প্রেম, সম্পর্ক বা পারিবারিক জীবনকে যেমন চরম বিষাক্ত করে তুলতে পারে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ড, তেমনি হুমকিতে পড়তে পারে তার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা।
বর্তমানে প্যাটার্ন লক, ফিঙ্গার পিনসহ বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে আড়ালে রাখেন ব্যক্তিগত ব্যবহারের ডিভাইসগুলো।
আজ (১ ফেব্রুয়ারি) পাসওয়ার্ড বদলের দিন। তাই সব পাসওয়ার্ড আরেকবার বদলে দিন। ২০১২ সালে দিবসটি চালু করেন ম্যাট বুকানন নামের এক অস্ট্রেলিয়ান লেখক।
কারণ দু-দুবার পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার পর ভদ্রলোক এর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দিনটির প্রচলন করেন। মূলত হ্যাকারদের থেকে ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতেই এই দিনের প্রচলন করা হয়।
তাই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কিংবা ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও স্মার্টফোন সবকিছুর পাসওয়ার্ড বদলে নিন আজ।
ডিজিটাল শ্যাডোজের ২০২২ সালের তথ্য বলছে, সে বছর ২৪ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের মাধ্যমে বেহাত হয়েছে। তথ্যটা কিছুটা পুরোনো। হালনাগাদ চিত্রটা ভাবুন। পাসওয়ার্ড চুরি যাওয়ার নানাবিধ কারণ রয়েছে। তবে প্রধান কারণ ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড-সংক্রান্ত অসচেতনতা ও অজ্ঞতা।
বিটওয়ার্ডেনের পরিসংখান বলছে, মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মাত্র অর্ধেক মানুষ পাসওয়ার্ড সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন। মূলত হ্যাকারদের থেকে ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতেই এই দিনের প্রচলন করা হয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কিংবা ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও স্মার্টফোন সবকিছুর পাসওয়ার্ড বদলে নিন আজ।
তথ্য সূত্র : ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।