জুমবাংলা ডেস্ক : আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেও ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দু’টি লকারের পাসওয়ার্ড পরিচালনা বোর্ডকে সরবরাহ না করায় সেগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেগুলো ভাঙা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পরে দুপুর ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেকে লকারগুলো বের করা হয়। লকার ভাঙার জন্য ধানমন্ডিতে ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।
আদালতের নির্দেশে গঠিত পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এ দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দু’টির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য তার পাঁচ সদস্যের বোর্ড আজ ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করার দায়ে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।