জরাজীর্ণ ও আগুনে পুড়ে যাওয়া বগি মেরামতের কাজ চলছে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে। এ সমস্ত বগি খুব শীঘ্রই রেলের বহরের সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ১০৫টি বগি মেরামতের কাজ চলছে। আরো ২০টি বগি প্রস্তুত করা হচ্ছে ঢাকা ও তার আশেপাশের রুটে চালানোর জন্য।

যে সমস্ত বগিতে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে তা পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে ঠিক করা হচ্ছে। বগিগুলো জোড়া দেওয়া হচ্ছে ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রে পাটাতন মেরামত করতে হচ্ছে। আবার রং দিয়ে চকচকে করার কর্মযজ্ঞ তো আছেই। যাত্রীসেবার উপযোগী করার জন্য নষ্ট জানালা ও পাটাতন ঠিক করতে হচ্ছে।
পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের কর্মচারী (এসএস ফিটার) জামাল হোসেন বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে সমানতালে সব খাতে কাজ চলছে। শ্রমিকরা দিনরাত পরিশ্রম করছে। দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।
আসন্ন ঈদে রেলযাত্রার বহরে যুক্ত করতে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ দুই মাসে অন্তত ৯০টি বগি মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে এখানে। অবশ্য চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রেকর্ড ১৩০টি বগি মেরামতের কাজ হয়েছে এই ওয়ার্কশপে। এরই মধ্যে ৫০টি বগি মেরামত শেষ করে বহরে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোরও মেরামত কাজ চলছে সমানতালে।
পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের ইনচার্জ মিলাদ আলী খন্দকার বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৯০টি বগি মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছি। রেলকে সচল করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে। যাতে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে মানুষ।
একই সঙ্গে ঈদযাত্রায় ঢাকার আশপাশের রুটে চালাতে দুটি বিশেষ ট্রেনের জন্য দুটি পাওয়ার কার এবং ২০টি বগিও প্রস্তুতের কাজ শেষ পর্যায়ে। নানামুখী সংকট থাকলেও ২০ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে বগি মেরামত কাজ শেষ করার আশা কর্তৃপক্ষের।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ বগির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কোচগুলোর কাজও প্রায় শেষের দিকে। ২০ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে সবগুলো কোচ যাত্রী পরিবহনের জন্য বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রতিবছর ঈদযাত্রায় রেলপথে যাত্রী চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এই চাপ সামলাতে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত বগির। নষ্ট বগিগুলোকে মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তুলে রেলওয়ের ওয়ার্কশপগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।