নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : নারীরা কেন পিছিয়ে থাকবে? নারীদের ভাগ্যোন্নয়নে নারীদেরই কাজ করতে হবে। আর সেই দায়িত্ব নিজের কাধেই নিতে চান গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও ওই পৌরসভা নির্বাচনের ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী কান্তা। উত্তরগাঁও, গোলাবাড়ী, বাগেরপাড়া, চরপাড়া, ঘোনাপাড়া, মূলগাঁও, চৈতারপাড়া, বাগদীরটেক, রাজপাড়া ও দেওপাড়া নিয়ে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী কান্তার ৩টি ওয়ার্ড। যেখানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৩ হাজার ৬৪৫ জন।এম.এস.সি অধ্যয়নরত কান্তা কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের বাঘেরপাড়া গ্রামের মৃত কাদির ভূইয়া ও কুলসুম বেগম দম্পত্তির কণিষ্ঠ কন্যা।
কান্তা বলেন, সমাজের অন্যেরা পারলে একজন মেয়ে হয়ে আমি কেন পারবো না। তাই তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নে কাজ করতে চান।রাজনীতি করবেন এমন চিন্তা কখনোই করেননি তিনি। কিন্তু সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই তিনি রাজনীতি করছেন। তাছাড়া স্থানীয় নারী ভোটারদের ব্যাপক জনমত থাকায় নারীদের জন্য কাজ করতেই তিনি এবারের পৌর নির্বাচনে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছে।
শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম কান্তার।জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী এক নারী তিনি। এতো কম বয়সেই তিনি পিছিয়ে পড়া স্থানীয় নারীদের একজন সেবক হয়ে কাজ করছেন। তাদেরকে আত্ননির্ভরশীল করতে তার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।একজন নারী হয়ে নিজের দুঃখ-কষ্টকে আঁড়াল করে সমাজের অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত নারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।বাল্যবিয়ে ও গর্ভবতী মায়েদের সচেতন করতে এবং প্রতিবন্ধি, বয়স্ক ভাতার সুবিধাদী দিতে, নারীদের আত্মনির্ভরশীল করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে ছুটে চলছেন কান্তা।তবে এ কাজগুলো করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি তাকে যথেষ্ঠ সহযোগিতা করছেন বলেও জানান কান্তা। নির্বাচনে ফলাফল যাই হউক নারীদের সকল সুযোগ সুবিধা আদায়ের ব্যাপারে ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।
এ পৌর নির্বাচনকে ঘিরে পৌরসভার ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের উত্তরগাঁও, গোলাবাড়ী, বাগেরপাড়া, চরপাড়া, ঘোনাপাড়া, মূলগাঁও, চৈতারপাড়া, বাগদীরটেক, রাজপাড়া ও দেওপাড়া গ্রামের ১৩ হাজার ৬৪৫ জন ভোটারের মন জয় করতে ইতিমধ্যে মানুষের দাড়ে দাড়ে ঘুরছেন। ভোটারদের কাছে বেশ সাড়াও পাচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য. গত ১৯ জানুয়ারী ৬ষ্ঠ ধাপে ৩১টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসীল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে কালীগঞ্জ পৌরসভাও রয়েছে। কালীগঞ্জ পৌরসভারসহ তফসিলকৃত ৩১ পৌরসভার ভোট গ্রহন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী কালীগঞ্জ পৌরসভায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।