লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে ঋতুস্রাব হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবেই বুঝবেন, প্রজনন স্বাস্থ্য ভাল রয়েছে। পিসিওডি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ওবেসিটির মতো সমস্যা থাকলে তখনই সময়মতো পিরিয়ড হয় না।
প্রজনন বয়সকালে কেউই পিরিয়ডকে এড়াতে পারে না। কিন্তু মহিলাদের কাছে মাসের ওই ক’টা দিন সবচেয়ে বিরক্তকর। আর যদি পিরিয়ডের তারিখে কোনও অনুষ্ঠান বা বেড়াতে যাওয়া পড়ে যায়। ঝক্কি এড়াতে তখন অনেকেই পিরিয়ড ডেট পিছিয়ে দেওয়ার উপায় খোঁজেন।
বিভিন্ন উপায়ে পিরিয়ডের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেকেই গর্ভনিরোধক বার্থ কন্ট্রোল পিল বা জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ির সাহায্য নেন। এতে ফলও পান। কিন্তু এই উপায় কতটা নারী দেহের জন্য সুরক্ষিত, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।
প্রয়োজনে পিরিয়ডের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া যায়। আর এটা সুরক্ষিতও। অনেকেই বার্থ কন্ট্রোল পিল ব্যবহার করা হয় ঋতুচক্রকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা কতটা নিরাপদ, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পিরিয়ডের তারিখ পিছনোর জন্য যে ট্যাবলেটগুলি ব্যবহার হয়, সেগুলো হরমোনাল ওষুধ। এগুলো খেলে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর জেরে জরায়ুর আস্তরণ তৈরি হয় না। এই কারণে পিরিয়ডের সময় রক্ত ও ক্লট শরীর থেকে বেরোতে পারে না।
বার্থ কন্ট্রোল পিল খেয়ে পিরিয়ড পিছনোর ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ির সাহায্য নেওয়া উচিত নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ডেকে আনে।
বার্থ কন্ট্রোল পিল খেয়ে পিরিয়ড পিছনোর পর ব্লিডিং কমে যায়। স্তনে ব্যথা, মেজাজ পরিবর্তন, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি যৌন মিলনেও অনীহা তৈরি হয়।
পিরিয়ড তারিখ ও মাসিক চক্র সচল রাখার জন্য বার্থ কন্ট্রোল পিল না খাওয়াই ভাল। যদি বার্থ কন্ট্রোল পিল খেয়ে ঋতুস্রাব পিছনোর পরিকল্পনা করেন, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।