জুমবাংলা ডেস্ক: পিরোজপুরের পল্লী অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলার ৫৩ টি ইউনিয়নের ১শত ৬৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ১২ লাখ ৬০ হাজার ৫৬২ জন রোগী চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ক্লিনিকের দু’একটিতে এখন গর্ভবতী মা-দের স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে সযতেœ।
গত ১৭ মাসে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৮৬ জন পুরুষ, ৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭০৮ জন মহিলা এবং ৪৫ হাজার ৭৮৭ জন শিশু এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎস সেবা এবং ওষুধ নিয়েছে। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে উল্লেখিত সময় ২৭ হাজার ৩৭৬ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য পিরোজপুর, বরিশাল, খুলনা এবং ঢাকার সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলার ১ শত ৭৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই ১ শত ৬৬ টি ক্লিনিক চালু করেছে এবং ৪ টির নির্মাণ কাজ গত বছর শেষ হয়েছে এবং এগুলো চালু করা হয়েছে। চালু কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সদরে ১৯টি, নাজিরপুরে ২৮টি, নেছারাবাদে ৩০টি, কাউখালীতে ১৪টি, ভান্ডারিয়া ২৩টি, মঠবাড়িয়ায় ৪২টি এবং ইন্দুরকানীতে ১২টি রয়েছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ হাসনাত ইউসুফ জ্যাকী জানান ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী এলাকার নারী-পুরুষ-শিশুর স্বাস্থ্য সেবা দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর এক যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেন। ২০০১ পরবর্তী সরকার এর নির্দেশে পিরোজপুরসহ সারাদেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া ক্লিনিক চালুর পাশাপাশি নতুন ক্লিনিক ভবণ নির্মাণ করছে। জ্বর, আমাশয়, গ্যাষ্ট্রিক, কাশি, ডায়রিয়া, জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ, ডায়রিয়া, বদ হজমসহ ৩৩ ধরনের রোগের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া পিরোজপুরের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদে সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েক জন নারী-পুরুষ এ প্রতিবেদককে জানান বাড়ি থেকে অনতি দূরে এসব ক্লিনিক চালু হওয়ায় তাদের অর্থ ও কষ্ট দুটোই লাঘব হচ্ছে এবং তারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হচ্ছে। নাজিরপুর উপজেলার শেখ মাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু জানান, তার ইউনিয়নের ক্লিনিকে নিয়মিত যতœসহকারে আগত রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ দারুনভাবে উপকৃত হচ্ছে। পিরোজপুর সদরের শংকরপাশা ইউনিয়নের উমেদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা গৃহবধূ শাহিনুর বেগম (৩২) জানান ,তিনি নিজে তার স্বামী এবং ৩টি সন্তান এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগের সুচিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছেন। এখানে এ ক্লিনিক না হলে আমাদের মত অস্বচ্ছল মানুষদের অনেক অর্থ ব্যয় ও কষ্ট করে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হত, যা আমাদের পক্ষে সম্ভব হত না। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।