পিএসজির গোল উৎসবের ম্যাচে এমবাপের ৫
স্পোর্টস ডেস্ক : পুঁচকে প্রতিপক্ষ পেয়ে যেন ছেলেখেলায় মেতে উঠল পিএসজি। হতে থাকল একের পর এক গোল। কিলিয়ান এমবাপে একাই করলেন পাঁচটি। ফরাসি ফুটবলের ষষ্ঠ সারির ক্লাব পি দে কেসেল গোলে ভাসিয়ে ফরাসি কাপের শেষ ষোলোয় উঠল ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
ফ্রান্স ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার শেষ বত্রিশে সোমবার রাতে ৭-০ গোলে জিতেছে প্যারিসের ক্লাবটি। লিওনেল মেসির ছাড়া খেলতে নামা দলটির অন্য দুটি গোল করেন নেইমার ও কার্লোস সলের।
ম্যাচ শুরু হতেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ল পিএসজি। দশম মিনিটে জালে বল পাঠান এমবাপে, তবে সেই যাত্রায় বাজে অফসাইডের বাঁশি। গোল হতে অবশ্য খুব বেশি দেরি হয়নি। প্রথমার্ধেই চারবার জালে বল পাঠিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় তারা।
প্রথম গোলের দেখা মেলে ২৯তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্দেসের পাস পেয়ে বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এমবাপে। ৩৪তম মিনিটে দানিলো পেরেইরার থ্রু বল ধরে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে জালে বল পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এই দুই গোলের মাঝে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। এখানেও জড়িয়ে এমবাপের নাম। তার বাড়ানো বল ডি-বক্সের মুখে পেয়ে ফিরতি পাস দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর এমবাপে আবার ফিরতি পাস দেন, আর বল ধরে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন নেইমার।
এমবাপের হ্যাটট্রিক পূরণ হয় ৪০তম মিনিটে। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়ার থ্রু বল ডি-বক্সে ধরে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
বিরতির পরও প্রত্যাশিতভাবেই একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে পিএসজি। এই অর্ধে গোলের দেখা মেলে আরও আগে। ৫৬তম মিনিটে ডিফেন্ডারদের ওপর দিয়ে ডি-বক্সে থ্রু বল বাড়ান নেইমার, গোলরক্ষক এগিয়ে গিয়ে ধরতে ব্যর্থ হন। বিনা বাধায় নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে।
৬৪তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে একজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিয়ে গোলমুখে বল বাড়ান নেইমার। সেখানে কার্লোস সলের বাঁ পায়ে বল ধরে অনায়াসে ডান পায়ের ব্যাকহিলে জালে পাঠান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৭৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে সলেরের পাস ধরে শেষ গোলটি করেন এমবাপে। বাকি সময়েও তারা তৈরি করে অসংখ্য সুযোগ, তবে ব্যবধান আর বাড়েনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।