পুঁজিবাজার ডেস্ক : গত তিন দিন ধরে পতনের মধ্য দিয়ে চলছে বাজার। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর এই তিন দিনে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এই সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬৫ পয়েন্ট।
লেনদেন কমে যাওয়ার ফলে ব্রোকারেজ হাউসগুলো ব্যবসা হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। লোকসান কমাতে হাজার হাজার লোক ছাঁটাই করেছে পরিচালকরা। এরপরও টিকে থাকতে না পেরে শাখা অফিসগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর একজন সদস্য বলেন, ‘৭৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আমার নেই ৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ পুঁজিবাজারের কর্তারা আইপিও (প্রাথমকি গণপ্রস্তাব) ও প্লেসমেন্ট বাণিজ্য করে বাজারটাকে শেষ করে দিয়েছে। ফলে আস্থা সংকটের কারণে নতুন করে ধসে রূপ নিয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।’
ডিএসইর এই সদস্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে ডিএসইর ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির দ্বন্দ্বের অবসান না হওয়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার ফলে এখন দরপতন হচ্ছে।
এদিকে, পুঁজিবাজারের মন্দা অবস্থা তুলে ধরতে লোক দেখানো উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চাইছেন। বৈঠকে তারল্য সংকট নিরসনে ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড চাওয়ার আহ্বান জানাবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া টেকসই পুঁজিবাজার গঠনের লক্ষ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাবও তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।