বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে বিপুল পরিমাণ অর্থের কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। বিগত পাঁচ মাসে 619 কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এক টাকাও আদায় করা হয়নি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা চেষ্টা করছে যেন আইনের মধ্য থেকে এই অর্থ আদায় করা সম্ভব হয়।
আমাদের দেশে আইনের মারপ্যাচ এবং দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। এ কারণে এ জরিমানা আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা এমনটাই মনে করেন। যারা এ কারসাজির সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুঁজিবাজারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বদ্ধপরিকর। তিনি বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন। যারা কারসাজির সঙ্গে যুক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
সব মিলিয়ে ১১টি কোম্পানি এর বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। তাদের অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় 619 কোটি টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইনের শাসন না থাকার কারণে সচ্ছতা নেই এবং এজন্য কারসাজি করে অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
বিনিয়োগকারীরা যেন আস্থা পায় সে কারণেই চেষ্টা করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে বাজার বেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে এবং বিনিয়োগকারীরা আশা পাচ্ছেন না।
বিএসইসি জানায়, আইন অনুযায়ী আদেশ জারি হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রিভিশনের সুযোগ রয়েছে। রিভিউতে জরিমানা বহাল থাকলে, সে ক্ষেত্রে হাইকোর্টে রিট করারও সুযোগ পান অভিযুক্তরা।
বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘কমিশন আগের জরিমানা যেটা করল সেটা যদি রিভিউতে বহাল রাখে সেক্ষেত্রে হাইকোর্টে রিট করতে পারে এটা একটা তার ফান্ডামেন্টাল রাইট। এ পর্যন্ত সে যেতে পারে। আর এর মধ্যে জরিমানার টাকা যদি আদায় না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট কেস করা হয়।’
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব কোম্পানিতে কারসাজি হয়েছে, সেসব কোম্পানিতে আস্থা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। তার ওপর আইনের দীর্ঘসূত্রতায় কারসাজিকারীদের দৃশ্যমান শাস্তি না হওয়ায় আস্থা হারাচ্ছেন তারা।
ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আল মামুন বলেন, ‘এই আইনের পরিবর্তন করতে হবে, শুরুতে ধরেই জরিমানা করতে হবে। কে সার্কুলার ট্রেনিং করছে, কে ফ্রন্টলাইন ট্রেনিং করছে, কে কি করছে, সবই তো চোখের সামনে।’
বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, ‘আইনগতভাবে সে যদি হাইকোর্টে একটি রিট করে দেয় তাহলে এটা ঝুলে যাবে। এর অর্থ হলো যে বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের এক অনাস্থার জায়গা তৈরি হওয়া।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।