জুমবাংলা ডেস্ক: আফ্রিকার আদিবাসী সম্প্রদায়দের মধ্যে নানারকম অদ্ভুত রীতিনীতি চালু আছে। এখনো চালু আছে। তার অনেকাংশই আমরা হয়ত জানি না। তেমনই আফ্রিকার ইথিয়োপিয়া দেশের এক জনজাতি হ্যামার। যাদের এক অদ্ভুত রীতির কথা প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালে, এক আন্তর্জাতিক চিত্রগ্রাহক সেই নিয়মের ছবি তোলার পর। সেই পুরো বিষয়টাই বিবাহ কেন্দ্রীক।
বিবাহের অদ্ভুত সব নিয়ম নীতি চালু আছে এই হ্যামার সম্প্রদায়ের মধ্যে। প্রাথমিক ভাবে এখানে পুরুষদের বিবাহের আগে একাধিক পরীক্ষা দিতে হয়, এবং প্রকাশ্যে। মনে করা হয়, এই সম্প্রদায়ের নারীরা পুরুষদের জন্য যে পরিমাণ আত্মত্যাগ করেন, পুরুষরা সেই পরিমাণ করেন না, সেই কারণে পুরুষদের একাধিক পরীক্ষা নেয়া হয়। আর সেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে নারীরাই চাবুকের মারেন পুরুষকে।
এখানে কোনো নারীকে বিয়ে করতে হলে, সেই বিয়ের প্রস্তাব ঐ নারীকে প্রকাশ্যে গ্রাম সভায় দিতে হয়। তারপর সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে একাধিক পরীক্ষা শুরু হয় ঐ পুরুষের। পুরুষটি নারীর যোগ্য কিনা, তা বিচার করা হয়। তার অংশ হিসাবেই চাবুকের আঘাত করার রীতি চলে আসছে। ঐ জনজাতি মনে করে, এই আঘাত পুরুষকে পুরুষত্বে উন্নিত করে।
এছাড়াও পুরুষটি যে বিয়ের জন্য তৈরি, তা জন্য প্রকাশ্যে প্রমাণ দিতে হয় পুরুষটিকে। কীভাবে? ১৫টি গরু বা ষাঁড়কে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সেগুলোকে এক লাফে টপকে যেতে হয়, তা হলেই ধরে নেয়া হয় সেই পুরুষ বিবাহে প্রস্তুত।
আর যদি কেউ সেটি না পারে, তখনই লজ্জার বেড়া ভেঙে সেই পুরুষটিকে সবার সামনে ক্রমাগত চাবুক মারে পাণিপ্রার্থী নারী। তাতে পিঠে হয়ে যায় কাটা কাটা দাগ। এই তার শাস্তি।
সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।