ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, লকডাউনের আগেই ঠিক হয়েছিল বিয়ের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা বদলে যায়। তবে বিয়ে বাতিল করার কথা ভাবেনি দুই পরিবার। তাই ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার হাত এক হয়। গত ২৯ জুন ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বসে বিয়ের আসর। গাঁটছড়া বাঁধেন তরুণ-তরুণী। বিয়ে হলেও দু’জনের দাম্পত্য জীবনে ছিল না উষ্ণতার ছোঁয়া।
নববধূর দাবি, বিয়ের পর থেকে এক ঘরে থাকলেও স্বামী নাকি কোনোদিন ছুঁয়ে দেখেননি তাঁকে। অনেকবার স্বামীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। পরিবর্তে দিনের পর দিন বেড়েছে দূরত্ব। একসময় স্বামীর যৌনক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন জাগে নববধূর মনে। বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের কথা ভাবেন। কারণ উল্লেখ করে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।
একপর্যায়ে ভারতের লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন তরুণী। এরপরই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কাউন্সেলর। কর্তৃপক্ষ ওই তরুণকে ডেকে পাঠায়। তরুণ পরিষ্কার জানান, তাঁর যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। তরুণের দাবি আদৌ সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখতে পরীক্ষা করা হয়। এরপর টেস্টের রিপোর্টে দেখা যায় তরুণের দাবিই সঠিক। তাঁর কোনোরকম শারীরিক সমস্যা নেই।
স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনে কেন আপত্তি তরুণের? তিনি স্পষ্ট করে জানান, বিয়ের সময় স্ত্রীর পরিবারের অনেকেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত বলেই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। সে কারণে স্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রেখেছিলেন তিনি। তবে স্ত্রীর সঙ্গে এবার নিশ্চয়ই তাঁর সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই আশা তরুণের।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।