পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, ২১ হাজার টাকার ইলিশ নিয়ে চম্পট

চাঁদপুরে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বেশকিছু ইলিশ মাছ নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক প্রতারক। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে এমন ঘটনা ঘটে।

২১ হাজার টাকা মূল্যের ইলিশ নিয়ে পালানো ভুয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেকে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক মুরাদ নামে পরিচয় দেয়।

এরইমধ্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ এই প্রতারককে ধরিয়ে দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবিসহ পোস্ট দিয়েছেন। যা সিসিটিভির ফুটেজ থেকে সংগ্রহ করেছেন তিনি।

একটা দুইটা নয়, গুণে গুণে ২০টা ইলিশ। আকারে মাঝারি। তাই দাম নির্ধারণ হয় ২১ হাজার টাকা।

নগদ টাকা না দিয়ে নিজের সততা দেখাতে কথিত পুলিশ কর্মকর্তা শহরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে খান এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী যুবরাজকে সঙ্গে করে সেই ইলিশসহ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে যায়। তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, থানায় গিয়ে মাছের মূল্য পরিশোধ করবে উপপরিদর্শক মুরাদ। কিন্তু থানায় পৌঁছে সেখানে অবস্থিত ক্যান্টিনের সামনে ইলিশগুলো দুটি ব্যাগে রাখা হয়।

একপর্যায়ে আরো কিছু ইলিশ লাগবে এমন কথা বলে যুবরাজকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে। একটু পর আরো কিছু ইলিশ নিয়ে থানায় ফিরে যুবরাজ হতবাক। কারণ, ততক্ষণে ২১ হাজার টাকায় ইলিশ কেনা ওই ব্যক্তি হাওয়া।

পরে যুবরাজ নিজে বহু খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে তাকে না পেয়ে বিষয়টি জানানো হয় খান এন্টারপ্রাইজের মালিক বিপ্লব খানকে। তিনি ছুটে যান থানায়।

একপর্যায়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখা শুরু হয়। তাতে ধরা পড়ে ইলিশ নিয়ে পালানো ব্যক্তি আসলে পুলিশ নয়, একজন প্রতারক।

এই বিষয় চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, মুরাদ নামে তার থানায় উপপরিদর্শক পদে কেউ নেই। এমনকি এই নামে অন্য কোনো স্টাফও।

তিনি আরো জানান, পুলিশ পরিচয়ে ইলিশ নিয়ে পালানো এই ব্যক্তি দুঃসাহসী এবং বড় ধরনের প্রতারক।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ইলিশ নিয়ে এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটলেও গত ১২ ঘণ্টায়ও কথিত পুলিশ কর্মকর্তা মুরাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

১০ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বিক্রি, দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড