জুমবাংলা ডেস্ক : পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কুষ্টিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা। তার অপরাধ বিচারকের সঙ্গে এসপির অশোভন আচরণ দেখে ফেলা। ওই উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অজ্ঞাত স্থান থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উচ্চ আদালতে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।
পরে আদালত তার এবং পরিবারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার আরাফাতের দুর্ব্যবহারের শিকার হন জেলার বিচারক মহসিন হাসান। ভেড়ামার পৌরসভা নির্বাচনে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকালে ওই বিচারককে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এসপির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাজাহান আলী। তিনি জেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। তার দাবি, ঘটনার পর থেকে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
শাজাহান আলী বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সেই সঙ্গে ভয়ে পলাতক অবস্থায় আছি। হাইকোর্টের অর্ডার হওয়ার পরে দৌলতপুরের ওসি আমাকে দেড় ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে জোর করে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন।
বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত স্থান থেকে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এই সরকারি কর্মকর্তা। চান নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা।
শাজাহান আলীর আইনজীবী ইসরাত হাসান বলেন, উনাকে দেড় ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন করেছে।
শুনানি শেষে তার আবেদন মঞ্জুর করে, আইজিপিকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ডেপুটি আটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, উনার নিরাপত্তা বিধানের জন্যে আইজিপি মহোদয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারকের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহারের বিষয়ে ২৫ জানুয়ারি এসপির হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। আদালত বলেছেন, প্রশাসনের এমন হস্তক্ষেপ বিচার বিভাগের ওপর চরম আঘাতের শামিল। সূত্র : সময় নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।