বিনোদন ডেস্ক : পূজার সময়টাকে ব্যাপক উপভোগ করেছেন একাধারে অভিনেত্রী এবং জনপ্রতিনিধি নুসরাত জাহান। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের এই তৃণমূল সাংসদ অষ্টমীর সকালে স্বামী নিখিল জৈনকে নিয়ে নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপে অঞ্জলি দিয়েছেন। ধর্ম নিয়ে তার অনেক কর্মকাণ্ডেরই সমালোচনা হয়েছে।
নবমীর দুপুরেও উত্তর প্রদেশের এক মওলানা ফতোয়া জারি করেন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। ইসলামের অবমাননা হচ্ছে বলে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। কিন্তু নুসরাত এসব কোনো পাত্তাই দিলেন না। ত্রয়োদশীর দুপুরে পৌঁছে গেলেন চালতাবাগানের মণ্ডপে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী। সেখানে তিনি মেতে উঠলেন সিঁদুর খেলায়।
এ প্রসঙ্গে বলেন, বিতর্কে পরোয়া করি না। আমি ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান। সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। সব উৎসবে মেতে উঠি। সিঁদুর খেলায় সাবেকি পোশাকে ছিলেন নুসরাত। সাদা জমিনের ওপর সোনালি জরির কাজ করা শাড়ি। মেরুন এবং সোনালি কম্বিনেশনের ব্লাউজ। আর ছিল গা-ভর্তি গয়না।
ওই দিন কার্নিভালে প্রতিমা যাওয়ার আগে চালতাবাগানের উদ্যোক্তারা সিঁদুর খেলার আয়োজন করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন নুসরাত। অভিনেত্রী বলেন,‘আমি মানবতায় বিশ্বাস করি। সমস্ত উৎসবে মেতে উঠতে ভালো লাগে, তাই আসি। কোনো বিতর্কেই আমার কিছু যায় আসে না।’
বিজয়ার সিঁদুর খেলার ছবি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সাংসদ। লাল পাড়ের সাদা শাড়ি ছাড়াও হাতে শাখা-পলা ছিল। সিঁদুরে রাঙিয়ে দুর্গার সামনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে টলিউডের এই প্রথম সারির অভিনেত্রীকে।
ভোটের পরই তুরস্কের বোদরুম শহরে বিয়ে সারেন নুসরত-নিখিল। বিয়ের পর প্রথম যেদিন সংসদে শপথ নিতে যান, সে দিন তাঁর সাজ চমকে দিয়েছিল অনেককেই। সিঁথি ভরা সিঁদুর, দু’হাতে ভরা জমকালো মেহেন্দি এবং গা ভরা গয়না। সেই সময়েও এক মৌলানা নুসরতের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে ফতোয়া জারি করেছিলেন। কিন্তু কান দেননি নুসরত। ইসকনের ডাকে পৌঁছে গিয়েছিলেন রথের রশিতে টান দিতেও। সে দিনও নুসরত বলেছিলেন,‘আমার ধর্ম মানবতা। সব ধর্মকেই আমি শ্রদ্ধা করি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।