আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে ‘শান্তিরক্ষায়’ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই সেখানে ট্যাংক পাঠিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মঙ্গলবার সকালে স্কাই টিভিকে এ কথা বলেন। ব্রিটিশ মন্ত্রির মতে, এটা আগ্রাসন শুরুরই লক্ষণ। খবর বিবিসি’র।
ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে রুশপন্থী লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পুতিনের ঘোষণায় পাশ্চাত্যের সঙ্গে সংঘাতের আশংকা বেড়ে গেছে। রাশিয়া ওই অঞ্চলের স্বাধীনতাকে সমর্থনের নামে ইউক্রেনে সেনা অভিযানের প্রস্তুতি নিতে পারে বলে পশ্চিমারা ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।
পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা পূর্ব ইউক্রেনে ‘শান্তি রক্ষার’ কাজ করবে। তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি একে ‘বাজে কথা’ বলে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ করতে প্রস্তুত।
পুতিনের রাতের ভাষণের পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিউইয়র্কে গভীর রাতে একটি জরুরি বৈঠক করেছে। সেখানে একাধিক দেশ যুদ্ধ এড়াতে শান্তি ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন তার দেশ কূটনৈতিক সমাধানের জন্য উন্মুক্ত। তবে তিনি আগ্রাসন বাড়ার জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করে পুতিনের অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি করেন। ইউক্রেন তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিন তার সোমবার রাতের জ্বালাময়ী ভাষণেই সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। ওই ভাষণে তিনি দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের একটি সত্যিকারের রাষ্ট্র হওয়ারই কোনো ইতিহাস নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা লেনিন দেশটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছিলেন। তিনি ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল বলেও অভিযুক্ত করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইউক্রেন ভীত নয় এবং কারো কাছে কিছু ছেড়ে দেবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তারা আজ মঙ্গলবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপের ঘোষণা দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।