রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার পয়েন্ট থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে সামনে এগুচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা।
১৪ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে এখন সাড়ে ৪ হাজার কর্মীর দিন-রাত কাজ করছে। অত্যাধুনিক এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে না কোনো ধরনের স্টপওভার পয়েন্ট, সিগন্যালিং সাইন কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা। ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরনের যানবাহন চলবে আপন গতিতে।
এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে একটি গাড়ি ৬ থেকে ৭ মিনিটে বাধাহীনভাবে পার হবে সাড়ে ১২ কিলোমিটার পথ। বর্তমানে রাস্তার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। ব্রিজ-কালভার্ট, আন্ডারপাস, ওভারপাসে কাজ করছে ভারী সব যন্ত্রপাতি-ক্রেন-লোডার-লিফটার-ড্রেজার-এস্কেভেটার।
হাতিরঝিলের চেয়েও আধুনিক স্থাপত্যকলার অন্যতম নিদর্শন হতে চলেছে এটি। ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ এর অন্যতম উদ্দেশ্য। কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত মূল রাস্তাটি হবে আট লেনের। দুই পাশে ১০০ ফুট করে দুটি খাল।
দুটি খালেরই দুই পাশে থাকছে সার্ভিস রোড। সার্ভিস রোডেও থাকবে একাধিক লেন। তার বাইরেও থাকছে বিভিন্ন আবাসিক এলাকা থেকে যুক্ত হওয়ার জন্য গেটওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফুটওভার ব্রিজ এর অনেকটুকুই দৃশ্যমান হয়েছে। ব্রিজের ইউনিক ডিজাইন আপনাকে মুগ্ধ করবে।
নির্মাণ কাজ শেষে হাতিরঝিলের ব্রিজের মতো দৃষ্টি নন্দন লাইটের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়ের ১৩ কিলোমিটার পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে। কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত এই সড়কের দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ১০০ ফুট করে দুইটি খাল।
দুই পাশে খালের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১৩ কিলোমিটার। পাশাপাশি নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ১০ ফিট চওড়া হাটার পথ। সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাছ লাগানো হবে। নির্মাণ কাজ শেষে খাল এবং হাঁটার পথ বিনোদনের স্থান হিসেবেও ব্যবহৃত হবে।
দুই পাশে ছয় লেনের রাস্তা রাখা হবে যেন স্বল্প গতির যানবাহন চলা শুরু করতে পারে। দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আট লেন বিশিষ্ট রাস্তা রাখা হয়েছে। বর্তমান পর্যন্ত এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ৯০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ প্রকল্পে পাঁচটি ইন্টার-সেক্টর রাখা হয়েছে। এর উপরের অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। ইউ টার্ন নিয়ে পাশের রাস্তায় ও শহরে যাওয়ার জন্য এটি ব্যবহৃত হবে। মূল এক্সপ্রেসওয়েতে কার্পেটিং এর কাজ করা হচ্ছে। এই সড়কের নির্মাণ শেষ হলে পূর্বাচলের চিত্র বদলে যাবে বলে সবার বিশ্বাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।