বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কিছুদিন আগেই মহাকাশে ভাসমান অবস্থায় চন্দ্রপৃষ্ঠের কয়েকটি ‘চমকপ্রদ’ ছবি শেয়ারের পর এবার চার লাখ কিলোমিটার দূর থেকে পৃথিবী ও চাঁদের ছবি তুলে পাঠিয়েছে নাসা’র মহাকাশযান ওরিয়ন।
সোমবার আর্টেমিস ১ নভোযানের তোলা একটি ছবি প্রকাশ করে নাসা, যেটির পটভূমিতে দেখা যাচ্ছে পৃথিবী ও চাঁদ দুটোই। ‘অপটিকাল ন্যাভিগেশন’ ক্যামেরার মাধ্যমে ছবিটি তুলেছে মহাকাশযানটি। ভবিষ্যতে যাত্রীসহ পরিচালিত অভিযানে মহাকাশযানের ‘পথ প্রদর্শকের’ ভূমিকায় দেখা যাবে একে।
প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট বলছে, অ্যাপোলো’র কয়েকটি ছবি বা ‘ভয়েজার ১’-এর তোলা ‘ফ্যাকাশে নীল বিন্দু’র মতোই ‘মানবতার আবাসস্থল’ পৃথিবীর অস্তিত্বের জানান দেয় নতুন এই ছবি, যা বিশাল মহাশূন্যে ভাসমান ছোট একটি নীল অর্ধবৃত্ত।
পৃথিবী থেকে চার লাখ ৩২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এই ছবি তুলেছে ওরিয়ন, যা পৃথিবী থেকে কোনো মানবনিয়ন্ত্রিত মহাকাশযানের দীর্ঘতম দূরত্ব। এমনকি, ১৯৭০ সালে অ্যাপোলো ১৩’র চার লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে মহাকাশযানটি।
তবে, মহাকাশ যাত্রায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করা অ্যাপোলো ১৩’র মূল পরিকল্পনায় ছিল না। মিশন চলাকালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটায় একে ভূপৃষ্ঠে ফেরানোর নতুন পরিকল্পনা সাজাতে বাধ্য হয় নাসা।
নভোচারী পাঠানোর উদ্দেশ্যে তৈরি কোনো নভোযানের সবচেয়ে দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড এখন আর্টেমিসের ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটের কব্জায়।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকার প্রতিবেদনে উঠে আসে, নাসার প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে এই প্রাথমিক আর্টেমিস মিশন। তবে, এখন পর্যন্ত মিশনের মূল ১২৪টি উদ্দেশ্যের ৩১টি পূরণ করতে পেরেছে মিশনের দলটি। এ ছাড়া, থ্রাস্টার পরীক্ষার মতো কয়েকটি বাড়তি লক্ষ্যমাত্রাও যোগ হয়েছে এতে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবশিষ্ট কার্যক্রমের প্রায় অর্ধেকই চলমান অবস্থায় আছে। আর বাকিগুলোর বেশিরভাগই নির্ভর করছে মহাকাশযানটির পৃথিবীতে ফিরে আসার ওপর।
এর আগে, অসংখ্য বিলম্বের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আর্টেমিসকে। ২০২৫ বা ২০২৬ সালের আগ পর্যন্ত নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর কোনো সম্ভাবনাও নেই। তবে, মহাকাশযানটির বর্তমান কার্যকারিতা থেকে ইঙ্গিত মিলছে, অবশেষে মহাকাশ সংস্থাটির সকল প্রচেষ্টা ফলাফল দেখাচ্ছে। ডিসেম্বরের ১১ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের স্যান দিয়েগো উপকূলে অবতরণ করার কথা রয়েছে ওরিয়নের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।