যদি বিশ্বাস করেন, আমাদের ছায়াপথে পৃথিবীর মতো বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ আছে, তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে: সেসব গ্রহে কি বুদ্ধিমান প্রাণী আছে? যদি থাকে, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসছে না কেন? উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা আমাদের তুলে দিচ্ছে না কেন?
আমার প্রশ্ন হলো, বনে বেড়াতে গিয়ে যদি হরিণ বা কাঠবিড়ালির সঙ্গে দেখা হয়, তাহলে কি তাদের সঙ্গে আপনি কথা বলবেন? শুরুতে হরিণ ও কাঠবিড়ালির সঙ্গে হয়তো আপনি কথা বলতে চাইবেন। কিন্তু একসময় সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হবেন। কারণ আপনার কথার উত্তর দিতে পারবে না তারা। কোনো প্রস্তাবও দেবে না তারা। সে কারণে তাদের রেখেই চলে আসতে হবে। আমার ধারণা, অতি উন্নত কোনো সভ্যতা আমাদেরও ঠিক বনের ওই হরিণ আর কাঠবিড়ালির মতোই ভাবে।
আবার ধরা যাক, বনের মধ্যে একটা পিঁপড়ার ঢিবি দেখলেন। তারপর কি পিঁপড়াদের কাছে গিয়ে বলবেন, ‘তোমাদের জন্য উপহার এনেছি। পাউরুটি এনেছি। তোমাদের পারমাণবিক শক্তি দেব। তোমাদের রানির কাছে আমাকে এক্ষুনি নিয়ে চলো?’
আমি মনে করি, এলিয়েনরা যদি হাজার হাজার আলোকবর্ষ পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবীতে আসার মতো উন্নতই হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের পক্ষে তাদের খুব বেশি কিছু দেওয়ার নেই। তাদের বরং আমরা বিরক্ত করে মারব।
অনেকে বলেন, এলিয়েনরা খুব ভয়ংকর হতে পারে এবং আমাদের শত্রুও হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমার তা মনে হয় না। তারা খুবই উন্নত হলে আমাদের ঘাঁটাবে না। কিন্তু তারা যদি ডাকাতি করতে আসে? তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তারা পৃথিবীতে এসে সবকিছু ডাকাতি করে নিয়ে যাবে।
কিন্তু মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়াও আরও অনেক গ্রহ আছে, সেগুলোতে কেউ থাকে না। তাই অধিবাসী থাকা কোনো গ্রহে ডাকাতি চালানোর চেয়ে ও ধরনের কোনো গ্রহ বেছে নেওয়াই তো ভালো। তাই আমি মনে করি, তারা আমাদের ঘাটাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।