জুমবাংলা ডেস্ক : ভ্রমণপিপাসু মনের তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেই ছুটে চলেন দেশ-বিদেশে। খোঁজেন পৃথিবীর বিস্ময়কর সুন্দর জায়গা। কিন্তু কোথাও কোথাও রয়েছে এমন সব প্রাচীন স্থাপনা যা শুধু ভ্রমণবিলাসীদের কাছেই নয়, প্রত্নতাত্ত্বিকদেরও কৌতুহল ও গবেষণার স্থান। এখানে গেলে মিটবে আপনার মনের পিপাসা। সেই সঙ্গে জানা হবে প্রাচীন সভ্যতার অনেক অজানা তথ্য। এমন এক শহর আছে বিশ্বের এক কোণায়, যেটা কিনা এখনো অদেখা অজানা রয়ে গেছে ভ্রমণবিলাসী অনেকের কাছে। এই জায়গায় ভ্রমণ করাটা হতে পারে আপনার সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা। এটা এতোটাই অদ্ভুত ও বিস্ময়কর, যা আপনি কখনোই ভুলতে পারবেন না। যত তাড়াতাড়ি আপনি এই লুকানো বিস্ময়কর জায়গায় পা রাখবেন, ততই রোমাঞ্চের উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন।
মেক্সিকো শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন শহর টিয়োটিহকান। এখানে রয়েছে ঐতিহাসিক বিশাল বিশাল সব মন্দির ও পিরামিড। যেগুলোকে টিয়োটিহকানের ধ্বংসাবশেষ বলা হয়ে থাকে। যা বিশ্ববাসীর কাছে এতোদিন পর্দার অন্তরালে থাকা রহস্যজনক জায়গাগুলোর একটি। ধারণা করা হয় এক সময় টিয়োটিহকান আমেরিকার সর্বশ্রেষ্ঠ শহর ছিল। ষষ্ঠ বা সপ্তম শতাব্দীতে রহস্যজনকভাবে পতন হয় এ শহরটির।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখনও এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। তবে তারা এ শহরটির বিন্যাস সম্পর্কে একটি চমৎকার তথ্য আবিষ্কার করেছেন যে এ শহরটি তিনটি মূল কাঠামোর উপরে গড়ে উঠেছে। সেগুলো হলো- সূর্যের পিরামিড, চাঁদের মন্দির এবং কোয়েটজালকাতালের (একটি দেবতার নাম) মন্দির।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এই টিয়োটিহকান শহরটি অরিয়নের বেল্টের (কালপুরুষ নামে উজ্জ্বল নক্ষত্রমণ্ডলী) ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে। টিয়োটিহকানরা মৌলিক এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কৃতিত্ব কীভাবে অর্জন করেছে প্রত্নতাত্ত্বিকরা এ রহস্য এখনো বের করতে পারেনি। তবে ঐতিহাসিকরা ধারণা করছেন, তারা ‘ঈশ্বরের শহর’ তৈরি করতে চেয়েছিল, যার মধ্যে প্রতিফলিত হবে স্বর্গের প্রতিচ্ছবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।