কিন্তু এর চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো, আমরা, অর্থাৎ পৃথিবীতে কি মানুষ থাকতে পারবে? বিষুবরেখা অঞ্চলে পৃথিবী ঘণ্টায় প্রায় ১০০০ মাইল বেগে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে নিজ অক্ষরেখার চারদিকে ঘুরছে।
এ অবস্থায় যদি থেমে যায়, তাহলে পৃথিবীর মানুষ, ঘরবাড়ি, নদী-সাগরের পানি, এমনকি পাহাড়-পর্বত পর্যন্ত মহাশূন্যে পূর্ব দিকে ছিটকে পড়বে। যদি কিছু পৃথিবীতে টিকে থাকেও তাহলে সুনামি-ভূমিকম্পে সব ওলটপালট হয়ে যাবে। মানুষ তো উড়ে যাবেই, পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব বিলোপ হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, পৃথিবী কি কখনো থেমে যেতে পারে? সৌরজগতের সৃষ্টির সময় মহাকাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা মহাজাগতিক বস্তুকণা পারস্পরিক আকর্ষণে ঘনিষ্ঠতর হতে থাকে এবং ঘূর্ণন প্রক্রিয়ায় একেকটা গ্রহের আকার ধারণ করে। মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলেন, এই ঘূর্ণন প্রক্রিয়া হয়তো আরও হাজার হাজার কোটি বছর ধরে চলবে।
কৌণিক ভরবেগের নিত্যতার সূত্র (ল অব কনজারভেশন অব অ্যাঙ্গুলার মোমেন্টাম) অনুযায়ী পৃথিবীর ঘূর্ণন প্রক্রিয়া থামার কোনো কারণ নেই। অবশ্য যদি কোনো বিশাল বস্তুখণ্ড পৃথিবীর খুব কাছে দিয়ে অতিক্রম করে, তাহলে পৃথিবীর ভরবেগে পরিবর্তন আসতে পারে, তার ঘূর্ণন থেমেও যেতে পারে। কিন্তু সেটা হবে পৃথিবী ধ্বংসের মতো একটা ব্যাপার। এ অবস্থায় দিন-রাত হলো কি না, আকাশে পূর্ণিমার চাঁদের আলো আমরা পাব কি না—এসব নিয়ে চিন্তার অবকাশ থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।