পৃথিবী তো ঘূর্ণমান, তবু ওপরের লোকজন, পশু-পাখি, পাথর বালি কেন পড়ে যায় না? কেন উপছে পড়ে না নদী আর সাগরের পানি? কারণটা সহজ: পৃথিবী যথেষ্ট জোরে ঘোরে না। চর্কিপাক-যন্ত্র চলতে শুরু করলেই লোকে পড়ে যায় না, পড়ে তখনি যখন সেটা বেশ জোরে ঘোরে।
পশ্চিম থেকে পূর্বে পৃথিবীর ঘুরপাক, একটা পুরো পাক খেতে লাগে চব্বিশ ঘণ্টা। পৃথিবীর তুলনায় মানুষ এত ক্ষুদ্র যে গতিটা বোঝে না, বিশেষ করে গতিটা অত্যন্ত মসৃণ বলে, কোনো বিরতি বা ঝাঁকুনি নেই। তাই আমাদের ভ্রান্তি হয় যে, পৃথিবী চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে অথচ আকাশ আর আকাশের সব জ্যোতিষ্ক—চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্র চব্বিশ ঘণ্টায় পৃথিবীকে একবার আবর্তন করছে। মনে হয় আকাশ পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিপরীত মুখে চলেছে।
ছুঁচসুদ্ধ সেই আপেলটা তো রয়েছে। ছুঁচটা হলো অক্ষ বা মেরুদণ্ড। পৃথিবীর মেরুদণ্ড ইস্পাতের ছুঁচ নয়, কল্পিত একটা লাইন যাকে ঘিরে পৃথিবীর চক্রগতি। লাইনটা দৈর্ঘ্য ১২ হাজার কিলোমিটারের বেশি। পৃথিবীর বিষুবরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার।
সূর্যের দিকে শুধু একটা দিক করে পৃথিবী বরাবর ঘুরলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াত। সে দিকটায় তাহলে হতো প্রচণ্ড তাপ, আর অন্য আলোহীন দিকটায় ভীষণ কনকনে ঠাণ্ডা আর অন্ধকার।
তাহলে পৃথিবীতে প্রাণ থাকা অসম্ভব হতো। কিন্তু রাত আছে, দিন আছে, পৃথিবীর এই চক্র এমন ভাবে চলে যে কোনো একটা দিকে অতি গরম বা অতি ঠান্ডা হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।