জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁপের দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের গবেষক অধ্যাপক নাসরীন আক্তার আইভী। দীর্ঘ ৫ বছরের গবেষণায় লাল ও হলুদ রঙের দেশীয় জাতের পেঁপে উদ্ভাবনে সক্ষম হন তিনি। অত্যন্ত সুমিষ্ট ও খেতে সুস্বাদু নতুন জাতের এই পেঁপের হেক্টরপ্রতি ফলন হবে ৬০-৭০ টন। এছাড়াও প্রতি পেঁপে গাছে ৫০ থেকে ৬০ টি করে ফল ধরবে বলেও জানান এই উদ্ভাবক।
জানা যায়, দেশীয় স্বাদ অক্ষুন্ন রেখে ২০০৮ নতুন জাতের পেঁপে উদ্ভাবনে গবেষণা শুরু করেন গবেষক। এরইধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে দেশীয় পেঁপের পরপরাগায়িত বীজ থেকে প্রজনন ও জেনেটিক পিওরিফিকেশনের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করেন। চাষীরা যাতে প্রতি ভিটে একটি চারা রোপণ করে সব চারাতেই ফল পায় এবং ফলন ও পুষ্টিগুণ বেশি হয়-এ জন্য ৫ বছর গবেষণা চালিয়ে সুস্বাদু পেঁপের এমন দেশীয় জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
নাসরীন আক্তার আইভী বলেন, এ জাতের পেঁপের বীজ জানুয়ারিতে রোপণ করা হয় এবং মার্চে উৎপাদিত চারা রোপণের উত্তম সময়। চারা লাগানোর ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ফল ধরে। প্রতি গাছে ৫০ থেকে ৬০ টি করে ফল ধরে। সে হিসাব অনুযায়ী সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া ভাল থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৬০-৭০ টন ফলন পাওয়া সম্ভব বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, এ জাতের পেঁপেতে পেপেইন নিঃসরণ বেশি হয়। পাকা ফলের ভিতরের রং একটিতে গাঢ় হলুদ থেকে গাঢ় কমলা, অপরটিতে লাল। প্রতিটি পেঁপের ওজন দেড় কেজি থেকে সাড়ে ৩ কেজি হয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া বলেন, পেঁপে ছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্যস্যের ৬০টি জাত উদ্ভাবন করেছেন। তিনি গবেষণার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার পাশপাশি লেখাপড়ার মান উন্নয়নের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।