সামনে আসছে রমযান মাস। চট্টগ্রামের বাজার এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন পণ্য নিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি থাকলেও বিষয়টি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজ-রসুন-আদার দাম আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বৃদ্ধি পেলেও তা এখন অনেকটাই কমে গেছে।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা গত মাসে ছিল ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। গত মাসে এ পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রসুনের দাম ৭৫ থেকে ২০০ টাকা।
আর গত মাসে রসুন বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা দরে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়। গত মাসে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে এখন মটর বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা দরে। তবে গত মাসে এক কেজি মটরের দাম ছিল ৫৫ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। গত মাসে এক কেজি ছোলার দাম ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, শুল্ক কমায় চলতি বছর খেজুরের পাইকারি বাজারে দাম কমেছে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। পেঁয়াজ-রসুন-আদার দামও আগস্টের তুলনায় অনেক কম।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্ল্যাহ জাহেদী বলছেন, রমজানে ভোগ্যপণ্যের চাহিদার তুলনায় এবার আমদানি অনেক বেশি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেখানে ২১৪ জন রোজার পণ্য আমদানি করেছেন, সেখানে এবার আমদানিকারক তিন শতাধিক। প্রতিযোগিতা বেড়েছে বলেই সরবরাহ বাড়তি।
তবে এখনও অস্থির সয়াবিন ও পাম তেলের বাজার। বোতলজাত তেল নিয়ে চলছে নানা হিসাবনিকাশ। পাওয়া যাচ্ছে না বেশির ভাগ দোকানেই।
এখনও বাজারে মুনাফালোভী সিন্ডিকেট সক্রিয় বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মইনুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়। তাদের নিষ্ক্রিয় করতে সরকার ব্যর্থ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।