স্পোর্টস ডেস্ক: আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখে বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার সেরাটা দিতে চাই। আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের জয়ে অবদান রেখে নিজেকে সেরা বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
তাসকিন আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় স্পোর্টিং উইকেট পাওয়া যায়। এসব জায়গায় বোলার-ব্যাটার উভয়েরই ভালো করার সুযোগ থাকে। আবার চ্যালেঞ্জও আছে। কারণ বাউন্সও আছে, তাই সঠিক জায়গায় বল করতে হবে এবং একই সাথে লাইন-লেন্থ বজায় রাখতে হবে। থাকতে হবে।’
ইনজুরির কারণে ক্যারিয়ারে বারবার উত্থান-পতনের পরও নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা পেসার তাসকিন জানান, নিজের সেরা সংস্করণে ভালো করতে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
দেশ সেরা এ পেসার জানান, কোভিড-১৯ কারণে দেশে লকডাউনে শুরু করা ফিটনেস নিয়ে এখনো কাজ করছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ফিটনেসের উন্নতির দিকে সবসময় বেশি ফোকাস থাকে। আমি ভালো খেলি বা না খেলি, ভালো প্রক্রিয়া ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমার স্বপ্ন অনেক বড়। আমি বিশ্বের সেরা বোলার হতে চাই। এজন্য, আমি সবসময় আমার ফিটনেস এবং বোলিং উন্নতির দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আজও আমি আমার কাজের চাপ অব্যাহত রেখেছি। যেহেতু আমি টেস্ট খেলি, তাই আমাকে বোলিংয়ে ভাল করার প্রতি চাপ অব্যাহত রাখি।’
তাসকিন জানান, শেষ দিকে হলেও পাওয়া কিছু কঠিন জয়, কোন ফরম্যাটেই জিততে না পারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভাল করার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে তাদের।
নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের আগে বাংলাদেশ ৩৩টি ম্যাচে জয়হীন ছিলো। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় (ছয়টি টেস্ট, নয়টি ওয়ানডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি) তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৯টি ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। ২০০৮ সালের শেষের দিকে ইস্ট লন্ডনে বৃষ্টির কারনে একটি ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছিলো।
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের মতো, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পাওয়া একমাত্র জয় থেকে আত্মবিশ্বাসী হচ্ছেন পেসার তাসকিন।
তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। নিউজিল্যান্ড সিরিজটাও ছিল চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেখানে একটি টেস্ট জয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিছু কঠিন ম্যাচ জয়ও আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি সেই পারফরমেন্সকে অব্যাহত রাখতে পারি, তবে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও জিততে পারি।’
তাসকিনও এটিও বিশ্বাস করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে দলের পেস বিভাগের উন্নতির দারুন সুযোগ থাকছে।
তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছরে দলের পেস বোলিং বিভাগ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে এবং সবাই ধারাবাহিক। তাই আমাদের এবার সুযোগ আছে. আশা করি আমরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো। এছাড়া সামনে এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ রয়েছে। আমরা যদি ভাল পারফরমেন্সটা ধরে রাখতে পারি তবে আমাদের একটি ভাল সুযোগ থাকবে।’
টাইগারদের বোলিং কোচ নতুন দায়িত্ব পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার অ্যালান ডোনাল্ডকে পেয়ে রোমাঞ্চিত তাসকিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা রোমাঞ্চিত। কারণ আমরা তার মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের অধীনে কোচিং করবো। সব কোচের ফর্মুলা প্রায় একই। কিন্তু একেক জনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। তার মত একজন কোচ পেয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। আমি তার মতো একজন কিংবদন্তি থেকে যতটা সম্ভব অর্জন করার চেষ্টা করবো।’
সাকিব আল হাসানকে নিয়েও কথা বলেছেন তাসকিন। সাকিবকে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় দল অনেক মিস করবে সাকিবকে।
পেসার তাসকিন বলেন, ‘আমরা তাকে অনেক মিস করবো। সাকিব ভাই সবসময়ই এক্স ফ্যাক্টর। তাকে পাওয়া, যেকোন দলের জন্যই অনেক বড় কিছু।’-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।