জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে পেয়ারা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের লাল পেয়ারার চাহিদা থাকায় বাড়ছে চাষ। পরে বন বিভাগ থেকে লিজ নিয়ে বাড়বকুন্ড পাহাড়ে পেয়ারা চাষ শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন। টিলায় রোপণ করা চারায় ৫ বছর পর থেকে পেয়ারা ধরতে শুরু করে। তিনি জানান, ৪০ শতক জায়গায় পেয়ারা বাগান করতে জঙ্গল পরিষ্কারসহ খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। মাত্র তিন মাসে ৭০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন তিনি।
কৃষক জয়নাল জানান, পেয়ারা চাষ করে তাদের দশজনের পরিবারের ভরণ-পোষণ চলছে। শুধু তিনি নন, পেয়ারা চাষ এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। সীতাকুন্ড এলাকার প্রায় ২০ কিলোমিটার পাহাড়ী অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠেছে পেয়ারা বাগান। অনেকে বংশানুক্রমিক পাহাড়ে পেয়ারা চাষ করে আসছিল। আষাঢ় থেকে ভাদ্র, এই তিন মাসে চাষীদের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা যায়। এখানকার লোকজন পেয়ারা চাষ করে সচ্ছল থাকার স্বপ্ন দেখছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এই পেয়ারার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাইরে হলুদ অথবা সবুজ আর ভেতরটা লালচে গোলাপি, আকারে খুব একটা বড় না হলেও স্বাদে অতুলনীয়। যে কোন পেয়ারাতে ভিটামিন-সি থাকলেও লাল পেয়ারায় অতিরিক্ত আছে ‘ভিটামিন এ’। এ তথ্য জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুভাষ কান্তি নাথ। প্রায় ২০ কিমি পাহাড়ী এলাকায় পেয়ারা চাষ হলেও একমাত্র বাড়বকুন্ড এলাকায় স্বল্প পরিসরে চাষ হওয়া লাল পেয়ারা সুস্বাদু আর নজরকাড়া রঙের কারণে ইতোমধ্যে খ্যাতিলাভ করেছে।
চাষি আবুল কালাম বলেন, এই পেয়ারা চাষ করে আমরা প্রচুর লাভবান। চাষে মাত্র তিনমাস সময় দিয়ে এর লাভ থেকে সারাবছর সংসার খরচ নির্বাহ করি। তিনি জানান, তার দু’একর জমিতে বাগান পরিষ্কারসহ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ৬০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছে।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুভাষ কান্তি নাথ বলেন, এই পেয়ারা চাষ করাটা কঠিন কিছু না। মাটি বা প্রকৃতির বিশেষত্বের কারণে এটা অন্যত্র চাষ হয় না, এ কথা ঠিক নয়। তিনি মনে করেন সঠিক নিয়মে লাগালে বা পরিচর্যা করলে ফলন এই অঞ্চলে খুব ভালো হয়।
দুই পাশে ধানক্ষেতের মঝে অসময়ে তরমুজ চাষ করে দুই ভাইয়ের বাজিমাত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।