জুমবাংলা ডেস্ক: নোয়াখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটারকে ‘ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে’ দেওয়ার কারণে এক পোলিং এজেন্টকে পিলারে বেঁধে রাখার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশে তাকে বেঁধে রাখা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. সেলিম নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রে এক নারী ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দিচ্ছিলেন মো. সেলিম। ওই সময় জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন তাকে আটক করে স্কুলের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
মেসবাহ উদ্দিন জানান ভোট দেওয়ার গোপন বুথে তাকে পাওয়া গেছে। সে সময় তিনি বলেন, ‘ কেন্দ্রে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অনিয়ম করলেই শাস্তি পেতে হবে। মাত্র একজনকে বেঁধে রেখেছি। সাংবাদিক ছবি তোলেন। অনিয়ম দেখলে জানাবেন।’
বাঁধা অবস্থায় মো. সেলিম বলেন, ‘ইভিএম নতুন পদ্ধতি। নারীরা কখনো ইভিএমে ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিচ্ছিলাম। আমাকে এভাবে বেঁধে রাখার চেয়ে মেরে ফেললে ভালো হতো। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।’
নোয়াখালীর মানবাধিকার কমিশনের সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম কামাল উদ্দিন বলেন, এভাবে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। তার দোষ থাকলে প্রচলিত আইনে শান্তির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এভাবে বেঁধে রাখা ঠিক হয়নি।
তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী জোছনা বেগম বলেন, ‘সব বুথে এভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে। এটা ভোটারদের সুবিধার জন্য। কিন্তু একটা মানুষকে এভাবে বেঁধে রাখার কোনো মানে হয় না। আমি অনেকবার বলেছি আমার কথা শোনেন না নির্বাচন কর্মকর্তারা।’
ঘটনার পর যোগাযোগ করা হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, ‘আমি বিষয়টা মাত্র জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাঁধন খুলে দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।