জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের লাশ গ্রহণ করেছেন পোল্যান্ড প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে শনিবার সকালে তাদের লাশ গ্রহণ করেন তিনি।
দুপুরে লাশবাহী গাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামে পৌঁছে।
এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের দেখতে আশপাশের শত শত মানুষ ভিড় করেন। বিকালে তাদের সৎকার করা হয়।
মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, অকালে দুটি প্রাণ চলে গেছে। এতে আমরা মর্মাহত। ওই পরিবার যাতে শোক সইতে পারে, আমরা সে প্রার্থনা করি।
জানা যায়, পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের মেয়ে বিভাঙ্কা রায় ঢাকার গেটওয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের শিক্ষার্থী। তিনি তার মা ফিলিপাইন নাগরিক রুবি রায়ের সঙ্গে ঢাকার মালিবাগে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে আগুনে মারা যান তারা।
শনিবার ভোরে দেশে ফিরেন পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম রায়। পরে ভাগিনা অনয় রায়কে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যান। সেখানে তিনি স্ত্রী-সন্তানের লাশ শনাক্ত করেন।
পরে লাশ বুঝে নিয়ে দুপুরে লাশবাহী গাড়িতে করে গ্রামের বাড়ি ফিরেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় মা-মেয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।