জুমবাংলা ডেস্ক: করোনা মহামারির মধ্যেই মার্কিন পোশাকের বাজারে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলল বাংলাদেশ। উদ্যোক্তারা বলছেন, চুক্তিমতো পোশাক সরবরাহের সক্ষমতার কারণেই বাংলাদেশে ক্রয়াদেশ বাড়াতে চান ক্রেতারা। আর বাজারের গতি বুঝে ব্যবসায়ীদের উৎপাদন পরিকল্পনা সাজানোর পাশাপাশি দূতাবাসগুলোকে কৌশলী হওয়ার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।
করোনার ধাক্কায় দেড় বছর ধরে যখন বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি; তখন মার্কিন বাজার দখলের লড়াইয়ে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক কার্যালয় অটেক্সার হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন বাজারে গেছে ৫৩২ কোটি ডলারের পোশাক; আর গত জুলাই পর্যন্ত এক বছরে গেছে ৫৮৯ কোটি ডলারের। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে মার্কিন পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের আয় বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
উদ্যোক্তারা বলছেন, যে কোনো পরিমাণ ক্রয়াদেশ প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার কারণেই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
বিকেএমইর প্রথম সভাপতি মোহম্মদ হাতেম বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন মার্কেট বন্ধ ছিল। এ কারণে বড় রকমের অর্ডার জমে ছিল। এখন অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে। ধারণা করা যাচ্ছে সবকিছু স্বাভাবিক হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজার দখলে ব্যবসায়ীদের যেমন তৈরি করতে হবে বাজার উপযোগী পোশাক তেমনি সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি।
এ ব্যাপারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাবে। এতে করে অর্ডারের পরিমানও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। অতি দ্রুত ইউএস ট্রেড কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে কীভাবে পোশাক খাত আরও সমৃদ্ধ করা যায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
অটেক্সার হিসাব, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় বেড়েছে যেখানে ২৬.৮১ শতাংশ, সেখানে ভিয়েতনামের আয় বেড়েছে ২০.৪৫ শতাংশ অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে প্রায়ে সাড়ে ৬ শতাংশ কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



