আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের একজন ভারতীয় ডাক্তার তার পোষা একটি ব্লাকপ্যান্থার ও একটি জাগুয়ার (চিতাবাঘজাতীয় বড় বিড়াল) নিয়ে বাড়ির বেসমেন্টে লুকিয়ে আছেন।
এই অবিবাহিত চিকিৎসকের নাম গিরিকুমার পাতিল। তিনি যিনি কিয়েভ চিড়িয়াখানা থেকে প্রাণী দুটি কিনেছিলেন।
তিনি বলেছেন, তার পোষা প্রাণী ছাড়া বাড়ি ছাড়বেন না তিনি। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে অবস্থিত একটি ছোট শহর সেভেরোডোনেটস্কে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস এই চিকিৎসকের।
তিনি জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কারফিউ শেষে সকালে শুধু তার প্রাণীদের জন্য খাবার কিনতে বেসমেন্ট থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। পুরুষ জাগুয়ারটির বয়স ২০ মাস এবং নারী প্যান্থারটি ছয় মাস বয়সী বাচ্চা।
‘এখন আমি একটি যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে গেছি। এবার আমি সত্যিই চিন্তিত। আমার বাবা-মা আমাকে ফোন করছেন এবং আমাকে বাড়িতে যেতে বলছেন, কিন্তু আমি প্রাণীদের ছেড়ে যেতে পারছি না,’- বলেন গিরিকুমার পাতিল।
তিনি বলেন, প্রায় ২০ মাস আগে কিয়েভ চিড়িয়াখানা থেকে প্যান্থার এবং জাগুয়ার কিনতে তার ৩৫ হাজার ডলার (২৬ হাজার ৪৬০ পাউন্ড) খরচ হয়। চিড়িয়াখানা প্রাণীদের ব্যক্তিগত বিক্রয়ের অনুমতি দেয় বলে তিনি জানান, তবে এ ক্ষেত্রে মালিকের কাছে প্রাণী রাখার পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে।
গিরিকুমার জানান, তিনি ২০০৭ সালে ইউক্রেনে আসেন মেডিকেলের ছাত্র হিসেবে। এরপর ২০১৪ সাল থেকে তিনি সেভেরোডোনেটস্কের একটি সরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক হিসেবে রয়েছেন। যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করেন।
৪০ বছর বয়সী এই চিকিৎসকের বাড়ি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার টানুকু অঞ্চলে।
সূত্র : বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।