জুমবাংলা ডেস্ক : মেয়রদের অপসারণের খবর জানাজানি হওয়ার এক বছর চার মাস পর নিজের কার্যালয়ে যান গফরগাঁও পৌরসভার মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন। এ খবরে স্থানীয়রা তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে মারধরের পর পুলিশের কাছে তুলে দেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে গফরগাঁও পৌরসভা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টানা দুইবার গফরগাঁও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গফরগাঁওয়ের সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবলের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি গফরগাঁও ছেড়ে দেন। এ ঘটনার এক বছর চার মাস পর সোমবার সকালে তিনি নিজ কার্যালয়ে গেলে তাকে মারধর করা হয়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা সোয়া ১০টার দিকে ইকবাল হোসেন পৌরসভার কার্যালয়ে যান। তিনি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই দল বেধে কিছু লোক পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে মেয়রকে মারধর করেন। পরে ওই তারাই মেয়রকে পৌরসভার অদূরে গফরগাঁও থানায় নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বেলা আড়াইটার দিকে ইকবাল হোসেন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন বলে জানা গেছে।
গফরগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মেয়র থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে তাকে মারধর করা হয়েছে কিনা সেটি জানা নেই। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাহ বাবেল ও ইকবাল হোসেন সুমন মিলে গফরগাঁওয়ে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছিলেন। তবে ২০২৩ সালে সংসদ সদস্যের সঙ্গে মেয়রের বিরোধ সৃষ্টি হয়। সংসদ সদস্যের হুমকির কারণে ওই সময় থেকেই ইকবাল হোসেন গফরগাঁও ছাড়া হন। এরপর থেকে তিনি গফরগাঁও পৌরসভায় নিজের কার্যালয়ে যাননি।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ পরিদর্শক বরখাস্ত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।