জুমবাংলা ডেস্ক : কেরানীগঞ্জে গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা আবু সিদ্দিক প্রকাশ্যে ঘুরছেন। রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে ধরছে না। পুলিশের দাবি, আবু সিদ্দিক পলাতক থাকায় তাকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে, চাঁদা না পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল বড় ভাওয়াল এলাকার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সিদ্দিক ও তার বাহিনী। এ সময় কুপিয়ে আহত করা হয় শাহাবুদ্দিনের ছোট ছেলে সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শামীমকে।
এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল আবু সিদ্দিকসহ কয়েকজনের নামে মামলা করেন শাহাবুদ্দিন। ওই মামলায় পুলিশ আবু সিদ্দিকসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখে আদালত আবু সিদ্দিকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আবু সিদ্দিককে গ্রেফতার করছে না। পুলিশের এমন ভূমিকায় এলাকায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তারানগর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার দুলাল মিয়া জানান, আবু সিদ্দিক আটিবাওয়ালের বাড়িতেই থাকেন। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান। লোকজনের সঙ্গে আড্ডাও দেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তাকে ধরছে না।
তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও আবু সিদ্দিক যে এলাকাতেই থাকেন সেটা নিশ্চিত করেন।
যে মামলায় আবু সিদ্দিকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে সেই মামলার বাদী শাহাবুদ্দিন বলেন, গরিবের বেলায় যত আইন। আমার ছেলেটাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি কি এর বিচার পাব না? আবু সিদ্দিকের প্রভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে ধরছে না। অথচ সে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরছে অথচ পুলিশ ধরছে না-এমনটি হওয়ার কথা নয়। যদি এমনটি হয়ে থাকে ভুক্তভোগীরা আমার কাছে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখে আবু সিদ্দিককে গ্রেফতারের জন্য আদালত পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু সে পলাতক থাকায় তাকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।