বিনোদন ডেস্ক: হলিউডের ফিল্মে অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায় নায়ক ও নায়িকা উভয়কেই দেখা যায় গরম পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে। কিন্তু বলিউড ও টলিউড ব্যতিক্রম। ফিল্মে প্রচন্ড ঠান্ডায় নায়কদের গরম পোশাকে দেখা গেলেও নায়িকারা কিন্তু ফিনফিনে পোশাক পরেন। প্রযোজক-পরিচালকদের একাংশ এখনও মনে করেন, প্রচন্ড ঠান্ডায় নায়িকার ফিনফিনে পোশাক দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য। তবে কাজল আসল সত্য সামনে আনলেন।
তিনি শেয়ার করলেন ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিল্ম ‘ফানা’-র মারাত্মক অভিজ্ঞতার কথা। এদিন কাজল নিজেই ‘ফানা’-র কয়েকটি দৃশ্যের কোলাজ তৈরি করে তা শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে। তার সাথেই পোস্ট করেছেন তাঁর একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা।
পোল্যান্ডে ‘ফানা’-র একটি বড় অংশের শুটিং হয়েছিল। সেই সময় ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস সাতাশ ডিগ্রি। ‘মেরে হাত মে তেরা হাত হো’ গানটির শুটিং হয়েছিল পোল্যান্ডে। ওই গানের পিকচারাইজেশনে কাজল ও আমির খানকে শুটিং করতে হয়েছিল বরফে জমা একটি হ্রদের উপর। হু হু করে ঠান্ডা বাতাস বইছিল চারিদিকে। ফলে যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছিল নায়ক-নায়িকার। আমিরের পরনের গরম জ্যাকেট আটকাতে পারছিল না ঠান্ডাকে। উপরন্তু কাজলের পরনে ছিল শুধু শিফনের সালোয়ার-কামিজ। তিনি জানিয়েছেন, এতটাই কষ্ট হচ্ছিল, ঠান্ডা হাওয়ার কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না তাঁরা। গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা করছিল। কিন্তু কষ্টের ছাপ মুখে পড়তে দেননি কাজল ও আমির। তাঁরা শুধু চেয়েছিলেন দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে।
তবু বর্তমানে ছবিগুলি দেখলে কাজলের মনে হয়, তাঁর মুখের অভিব্যক্তিতে না চাইলেও পড়েছিল কষ্টের ছাপ। তবে মুম্বইয়ে ফিরে আবারও নতুন করে এই গানটির শুটিং করতে হয়। কাজল মনে করেন, মহিলারা যথেষ্ট ক্ষমতাশালী। তাঁদের কুর্ণিশ করা উচিত। বিশ্বজুড়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও কাজ করে চলেছেন তাঁরা। ‘ফানা’-র জুনি চরিত্র কাজলের কাছে সারাজীবন বিশেষ হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কুণাল কোহলি পরিচালিত ফিল্ম ‘ফানা’ ছিল সেই বছরের ব্লকবাস্টার। গোটা বিশ্ব জুড়ে একশো কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ‘ফানা’।
সেদিন শর্ট স্কার্ট পরতে বাধ্য হয়েছিলেন কাজল, ২৭ বছর পর সামনে আসল কারণ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।