রোজার মাসে প্রায় প্রতিদিনি ইফতারের সময় মুড়ি খাওয়া হয়। এই মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে নাকি কমে এই নিয়ে চিন্তায় থাকে অনেকেই। অনেকের ভয় থাকে ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। তাই তারা ভাতের পরিবর্তে অনেক সময় মুড়ি খেয়ে থাকেন। এই মুড়ি কি সত্যিই ওজন কমাতে কাজ করে? আবার নিয়মিত মুড়ি খেলে তা শরীরের অন্য কোনো ক্ষতি করে কি?
সাধারণ খাবার হলেও মুড়ি সবারই পছন্দের। সকাল কিংবা বিকেল, নাস্তার টেবিলে অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকে মুড়ি।
অনেকে আবার চানাচুর-মুড়ি একসঙ্গে মেখেও খান। ডায়েট হিসাবে অনেকে আবার বেছে নিচ্ছেন মুড়ি। কিন্তু প্রতিদিন মুড়ি খাওয়া কী স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, খেলে কী উপকার হবে চলুন জেনে নিই।
অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে মুড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। প্রচণ্ড পরিমাণ অ্যাসিড হলে, মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত পালাবে আপনার অ্যাসিডের সমস্যা। মুড়িতে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে। এটি হাড় শক্ত করে।
মুড়িতে ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। অল্প খিদে পেলে মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যারা হালকা খাবার হিসাবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ। সাধারণত এক কাপ মুড়িতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্যালরি থাকে।
মুড়ি শর্করাজাতীয় খাবার। তাই ভাত বা রুটির বদলেও মুড়ি খাওয়া যায়। তবে মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থকায় উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশনের সমস্যা থাকলে পরিহার করা উচিত। চিনি দিয়ে ভেজে খাওয়া যায়, আবার মুড়ি মাখিয়েও খাওয়া যায়। তবে চানাচুরের বদলে ছোলা বা মটরশুঁটি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়াটা তুলনামূলক বেশি ভালো। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কিছুটা হলেও বাড়তে পারে। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে, তারা এড়িয়ে চলুন।
আজকাল ইউরিয়া-মিশ্রিত মুড়ি পাওয়া যায়, এগুলো না খাওয়াই উচিত। মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। এ কারণে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের মুড়ি না খাওয়াই উচিত।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.