জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য নীতিমালা থাকলেও বাস্তবায়ন নেই। তবে আশার কথা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা দক্ষ হয়ে চাকরি পাবে সেই ব্যবস্থা প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার করেছে। ডিআরআরএ ৮০ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছেন।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এবং ডিজএবলড রিহেবিলিটেশন এন্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) সহায়তায় ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, ২০২২: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশিষ্টজনরা একথা বলেন।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে দক্ষতা উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে থাকায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সামনে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে শ্রমশক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ এখন সংকুচিত। নতুন নতুন প্রযুক্তি যেমনভাবে শ্রমনির্ভর কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত করেছে, তেমনি প্রযুক্তি দক্ষতা নির্ভর নতুন বহু ক্ষেত্রও তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জনশক্তিকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তৈরি করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এখন বাস্তবতা।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালায় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মাননীয় সংসদ সদস্য শবনম জাহান শীলা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সচিব ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরীন আফরোজ। এছাড়া ‘আসুন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়ন করে’/ ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে দেই’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ শফিক। বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য শিরিন নাইম পুনম, গেস্ট অব অনার ডিআরআরএ-এর সদস্য কামরুল ইসলাম এবং ডিআরআরএ-এর উপদেষ্টা স্বপনা রেজা । ভিডিও উপস্থাপন করেন দেবেশ দাস।
শবনম জাহান শীলা বলেছেন, দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কর্মে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট তথা উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছানো সহজ হবে। তিনি এ জন্য ইতোমধ্যে প্রণীত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দক্ষ করে গড়ে তুলে তাদের সামজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে তিনি সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
নাসরীন আফরোজ বলেছেন, বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদাসম্পন্ন পেশায় তরুণদের এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করে শোভন কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা কাজে লাগাতে তরুণদের উপযুক্ত পেশায় দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান, দক্ষতা বিষয়ে গবেষণা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ সামগ্রী তৈরি, সনদায়ন, অ্যাসেসমেন্টসহ একটি দক্ষতা ইকোসিস্টেম তৈরিতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তিনি এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্বপনা রেজা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দক্ষতা, যোগ্যতা অনুযায়ী কাজগুলো আমরা করিয়ে থাকি। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারা যে কাজ করছে সেটা মনিটরিং করা দরকার। কারণ প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তারা কতটুকু কাজ করতে পারছে তা দেখা। তাদের প্রশিক্ষণে আরো কিছু যোগ করতে হবে কিনা! আরও কোনো সুবিধা দিতে হবে কিনা তা বেরিয়ে আসবে।
আলোচনা শেষে অতিথিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নাসরীন আফরোজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।