বিনোদন ডেস্ক: অভিনয়শিল্পীদের জীবনের এক অদ্ভুত অধ্যায়। যতটা বাস্তবে থাকেন, ধারণকৃত চরিত্রে থাকেন তার চেয়ে ঢের বেশি! কিন্তু সেই চরিত্রে নিজেকে দেখে কারও কাছে অচেনা লাগে কি? উত্তর হলো- লাগে। যেটার তরতাজা উদাহরণ চঞ্চল চৌধুরী।
প্রসঙ্গ একটু পরিষ্কার করা যাক। প্রথমবারের মতো টলিউডের ছবিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল। নাম ‘পদাতিক’। এটি নির্মাণ করছেন কলকাতার খ্যাতিমান নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। ছবিটি নির্মিত হচ্ছে উপমহাদেশের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের জীবন অবলম্বনে। এর এতে খোদ মৃণাল সেন রূপে কাজ করলেন ঢাকার চঞ্চল।
চঞ্চল থেকে মৃণাল হয়ে ওঠার পেছনে কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন বটে। কেননা মৃণালের সঙ্গে তার চেহারার খানিকটা মিল আছে। কিন্তু একজন কিংবদন্তি নির্মাতার চিন্তা, আদর্শ, ভাবভঙ্গি আর চলচ্চিত্র দর্শন, এসব ধারণ করা মোটেও সহজ ছিল না। তাই চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি অভিনেতা।
গত ১৪ মে ছিল মৃণাল সেনের জন্মদিন। এ উপলক্ষে মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটিতে ‘পদাতিক’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেখানেই ছবির একটি স্থিরচিত্র ব্যবহার করা হয়। যেটা দেখে চমকে গেছেন খোদ চঞ্চলই!
তিনি বললেন, ‘ছবিটা দেখে প্রথমে আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই। এটা মৃনাল সেন নাকি আমি! সত্যটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে, সেই সঙ্গে অনেকখানি ভালোও লেগেছে। মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডুর কী অসাধারন কাজ।’
প্রসঙ্গ নিয়ে চঞ্চল নিজের ভাবনা বিস্তৃত করলেন এভাবে, “মৃনাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিখ্যাত সাময়িকী ‘ভ্যারাইটি’ মৃনাল সেনের চরিত্রে অভিনীত আমার এই ছবিটি দিয়ে আমার, পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও প্রযোজক ফেরদৌসুল হাসানের একটা ইন্টারভিউ ছেপেছে। বাবার সদ্য মৃত্যুর শোক বুকে নিয়ে শেষ করেছি মৃনাল সেনের জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘পদাতিক’র কাজ। এ বছরেই ছবিটি মুক্তি পাবে সিনেমা হলে। প্রযোজকের ইচ্ছা, একসঙ্গে দুই বাংলাতেই তিনি ‘পদাতিক’ মুক্তি দিতে চান।”
এমন চ্যালেঞ্জিং ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্মাতা সৃজিতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চঞ্চল। বলেছেন, ‘ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা সৃজিতদার প্রতি, এরকম একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ে আমাকে নির্বাচন করার জন্য।’
এর আগে ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে ‘পদাতিক’ নিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘শুধু দেখতে একরকম হওয়া একটি বায়োপিকের জন্য যথেষ্ট নয়, বিশেষ করে মৃণাল সেনের মতো একজন কিংবদন্তির ক্ষেত্রে। আমার চেষ্টা ছিল তার ভেতরকার অনুভূতি ধারণ করার। সেই চ্যালেঞ্জটা আমি নিয়েছি। মানুষ হয়তো মৃণাল সেনের ছবি দেখেছেন, জেনেছেন। কিন্তু তার জীবনাদর্শ জানেন না। মানুষের কাছে সেই অজানা বিষয়গুলো তুলে ধরাই আমাদের দায়িত্ব ছিল।’
উল্লেখ্য, ছবিটিতে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কলকাতার মনামী ঘোষ। ইতোমধ্যে ছবির শুটিং পর্ব শেষ। চলছে পোস্ট প্রডাকশনের কাজ। শিগগিরই এর মুক্তির ঘোষণা আসবে।
আল্লাহ সাক্ষী, ইসলামকে আঘাত করে কথা বলিনি; সেদিন বলেছিলেন ফারুক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।