প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক অর্থনীতি ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে যা একটি নতুন মাইলফলক।
২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির আকার ছিল ৮৮ ট্রিলিয়ন এবং ২০২১ সালের তা ছিল ৯৪ ট্রিলিয়ন। আইএমএফ এর হিসাব অনুযায়ী ২০২২ এর শেষদিকে এটি হবে ১০৪ ট্রিলিয়ন যা নতুন মাইলফলক।
করোনা মহামারি শুরুর আগ পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি বেড়েই যাচ্ছিল। যুদ্ধের কারণে এটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিজনেস সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবুও ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে যা এর আগে ইতিহাসে কখনো হয়নি।
বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৪.৪ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল কিন্তু এটি ৩.৬ শতাংশের উপরে বাড়বে না বলে মনে হচ্ছে। জিডিপি এর দিক থেকে বিশ্বের সেরা ৫ টি অর্থনীতির দেশ হচ্ছে আমেরিকা চায়না জাপান জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির আকার ২৫.৩ ট্রিলিয়ন। চীনের এটি ১৯.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। ইউরোপের মধ্যে জার্মানি সবথেকে এগিয়ে আছে এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে মনে হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে আমেরিকা কে ছাড়িয়ে চীন হবে বৈশ্বিক অর্থনীতির নেতা।
তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইরাক-সৌদি আরব এসব দেশের জিডিপি বাড়বে। উত্তর আফ্রিকার দেশগুলির জিডিপি বাড়ছে। তবে ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশ এবার করোনা মহামারি এবং যুদ্ধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্রতম অর্থনৈতিক আকারের পাঁচটি দেশ হচ্ছে টুভেলু নাউরু কিরিবাতি পালাউ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ। টুভেলু এর জিডিপির আকার হচ্ছে ৬৬ মিলিয়ন ডলার। তবে ইউরোপের অনেক উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ নেতিবাচক জিডিপির মধ্য দিয়ে যাবে। উদাহরণস্বরূপ রাশিয়ার কথা বলা যেতে পারে। ২০২২ সালের শেষদিকে রাশিয়ার জিডিপি হবে মাইনাস ৮.৫ শতাংশ। তবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং পশ্চিমা দেশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতির অবস্থা সামনে কেমন হবে সেটা দেখার অপেক্ষায় আছে পুরো বিশ্ব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।