জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অমান্য করে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সজল ও ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন। এতে ওই দুটি উপজেলার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
জানা গেছে, এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী।
মঙ্গলবার সজল আনারস প্রতীক পেয়েছেন। তার পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মমতাজুর রহমান মণ্ডল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেয়র মতিউর রহমান মতি প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
সজল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন। এর প্রতিবাদে সোমবার রাতে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল তারিক মোহাম্মদসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। তারা এ ব্যাপারে দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে এমপির ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি আনারস প্রতীক পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।
লিটন মঙ্গলবার বিকালে জানান, দলীয়ভাবে কোনো চিঠি বা নতুন করে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় তিনি সোনাতলা ও তার ভাগ্নে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে মামা ও ভাগ্নে বলেছিলেন, তারা বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের আপনজন হলেও তিনি তাদের পক্ষে কাজ করছেন না। কাউকে কাজ করার জন্য নির্দেশও দেননি। নিজেরা যোগ্যতা বলে দলে অবস্থান ও নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
এদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আবারো চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম মন্টু বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এমপির স্বজনরা কিভাবে এখনো ভোটের মাঠে রয়েছেন তা বোধগম্য নয়। এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা দলের হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।