জুমবাংলা ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনীকে বলেছেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। খবর ইউএনবি’র।
‘তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ফলে প্রতিটি পেশার ক্ষেত্রেই সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে তেমনি চ্যালেঞ্জের মাত্রাও বেড়েছে। জাতীয়, সামাজিক ও ব্যক্তি নিরাপত্তার হুমকি এখন অনেক বেশি। সাইবারক্রাইম এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা,’ বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির ফলে সৃষ্ট সকল সুযোগ-সুবিধাকে সঠিকভাবে কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগানোর পাশাপাশি প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য তার আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠানে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
হামিদ বলেন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উন্নয়নে সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। ‘এ কর্মসূচির আওতায় ইতিমধ্যে অবকাঠামো ও উন্নত যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে আমাদের বাহিনীসমূহের সামর্থ্য ও সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতেও সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন। ‘এ দায়িত্ব পালনকালে অনেক সদস্য শাহাদতবরণ করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করি।’
নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলাকে যেকোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনী দেশমাতৃকার কল্যাণে অব্যাহত প্রয়াস চালাবেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দক্ষতায় বিশ্বমানে উন্নীত হবে এবং উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা নৈশভোজে অংশ নেন। রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।